মানুষের জীবনে দুঃখ কষ্টের প্রয়োজন আছে। অতি প্রাপ্তি মানুষকে বড় হতে দেয় না। মানুষ মূলত বড় হয় অপ্রাপ্তিতে। মানুষ মূলত জীবনকে শিখে, ঠেকে ঠেকে আর ঠকে ঠকে।
যার সবকিছু আছে, সে আসলে কখনো চোখ মেলে পৃথিবী দেখতে পায়না। তার সমস্ত জীবনটাই স্বপ্নের মতন। এ যেন স্বর্গের ডেফিনেশনের মতন জীবন। স্বর্গে মনের বাসনা পুরোপুরি জাগ্রত হওয়ার আগেই মানুষ সে জিনিস পেয়ে যাবে। এটা আনন্দের এবং একই সাথে এটা বিরক্তিকরও।
জীবনের সবকিছু “চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবেন” টাইপ হয়ে গেলে, সে জীবনের গভীরে প্রবেশ করা যায়না। জীবনের গভীরে প্রবেশ করতে হলে, চাহিবা মাত্র কোন কিছুই পাওয়া যায়না টাইপ সত্যকে বিশ্বাস করতে শিখতে হবে।
যার জীবনে অপ্রাপ্তির পাল্লা যত ভারী, তার জীবনের প্রতি বোধ শক্তি ততো স্ট্রং।
অতি প্রেম মানুষকে একঘেয়ে করে তোলে, এই একঘেয়ামির জন্যই অভিমানের জন্ম। শুধু ভালোবাসা পেলে, মানুষ ভালোবাসার প্রতি অনিহা অনুভব করে। অনিহা মানে যে আর ভালোবাসা চায়না, তেমনটা না। এই অনিহাটা এভেইলএবল জিনিসের প্রতি মানুষের অনাগ্রহের স্বভাব বহিঃপ্রকাশ।
নিজের অপ্রাপ্তিতে অসহায়ত্বের কিছু নেই, তেমনটা না। বরং কখনো কখনো এই অসহায়ত্বও মানুষের জীবনে আসা ভীষন ভাবে প্রয়োজন। অসহায়ত্ব মানুষকে বুঝতে শেখায়, অর্জন কত’টা আনন্দের।
যার জীবনে অপ্রাপ্তির অসহায়ত্ব নেই, তার জীবনের কোন অর্জনে আনন্দও নেই।
লেখাঃ নিশাত
ছবিঃ হৃদিতা তাহসিন