আট বছর ধরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এমন অভিযোগে করা এক তরুণীর (২০) মামলায় তাঁর সৎবাবা আরমান হোসেন সুমন (৩৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে দুই দফা ৪ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে আরমান হোসেন সুমনকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল নিশাত।
মহানগর হাকিম আহসান হাবীব জবানবন্দি রেকর্ড করে আরমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৩ ও ১৬ জুলাই দুই দফায় এ আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১১ জুলাই রাতে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমান হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক তরুণী।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে ১২ জুলাই রাতে আরমান হোসেন সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরমান হোসেন সুমন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদীর বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ২০০৫ সালে আরমান হোসেন সুমনকে বিয়ে করেন তার মা। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করেন বাদী। চাকরির কারণে বাদীর মা মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন। ২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সে সময় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া সৎ মেয়েকে প্রথম ধর্ষণ করেন আরমান হোসেন সুমন।
এ সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মোবাইলে তুলে রাখেন আরমান হোসেন সুমন। এরপর থেকে ছবি ও ভিডিও প্রকাশের ভয়-ভীতি দেখিয়ে গত ৮ বছর ধরে বাদীকে ধর্ষণ করতেন তিনি।
২০১৫ সালে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আরমান হোসেন সুমন তার গর্ভপাত ঘটান। এরপরও বাদীর ওপর চলে নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নিউ ইস্কাটনে খালার বাসায় চলে যান বাদী। এরপরও তাকে কুপ্রস্তাব পাঠাতেন আরমান হাসেন সুমন। রাজি না হলে একপর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপ বাদীর বন্ধুর কাছে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের কতা স্বীকার করে সৎবাবার জবানবন্দি।
Date:
Share post: