চট্টগ্রামের ‘লেডি গ্যাং লিডার’ সিমরান সিমিকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। পতেঙ্গার নেভাল এলাকায় এক কিশোরীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরের দিনই তাকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। রাতেই সিমি ও তার বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করে ভিকটিম ওয়াসিফা চৌধুরী অর্না। তবে সিমি গ্রেপ্তার হলেও তার সেই বয়ফ্রেন্ডকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই তরুণই ভিকটিমকে মারধর করছিলেন বেশি।
সেই মামলায় রবিবার আদালতে হাজির করে পুলিশ তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মো. রেজার আদালত তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিমির বয়ফ্রেন্ডকে আটক করতে না পারার বিষয়ে পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভিডিও ভাইরালের পরের দিন দুপুরে সিমিকে আটক করা হয়। রাতে তাকে ও তার বয়ফ্রেন্ডকে আসামি করে মামলা হয়। তার বয়ফ্রেন্ড ঘটনার পর থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’
অন্যদিকে সিমিকে আজকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
‘তুই আমাকে চিনস? আমি বললে, এখান থেকে তোকে কেউ বাঁচিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।’ —এরকম হুঙ্কার দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তাকে আটক করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। ভিকটিম ওয়াসিকা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে শনিবার রাতে সিমি ও তার বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত সিমি নগরের ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং বড়বাড়ি এলাকার কামাল হোসেনের মেয়ে। তবে তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা বাগেরহাটে। ৬ বছর আগে তার পিতা মারা গেছেন। এক ভাই ও মাকে নিয়ে নগরের সিমেন্ট ক্রসিং বড়বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
এদিকে শনিবার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়। নেভাল এলাকায় এক তরুণীকে বেধড়ক চড় থাপ্পড় দিচ্ছে সিমি ও তার এক সহযোগী। ওই সময় সিমিকে বলতে শোনা যায়, ‘তুই আমাকে চিনস? আমি বললে, এখান থেকে তোকে কেউ বাঁচিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।’
এর আগে গত বছরের ২৪ আগস্ট বাসায় ঢুকে এক তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেছিল ‘লেডি ক্যাডার’ সিমি ও তার গ্রুপ। পরে ওই তরুণীর মামলার জেরে গত ২৭ আগস্ট দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সিমি।