পেকুয়ায় শাশুড়কে কুপিয়ে জখম করেছে আপন মেয়ের জামাতা। এ ঘটনায় শাশুড়সহ ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে বয়োবৃদ্ধ জাফর আহমদ (৬৫) কে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ২৭ জানুয়ারী (বুধবার) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া সওদাগর হাটে এ ঘটনা ঘটে। জখমীরা হলেন শিলখালী ইউনিয়নের লম্বামোড়ার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে জাফর আহমদ (৬৫) ও তার নাতি মোহাম্মদ সাগর (১৮)।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন সকালে জাফর আহমদের মেয়ে ছৈয়দা খাতুন স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে নিজ বাড়ি লম্বামোড়া থেকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দিকে রওয়ানা দেয়। এ সময় বারবাকিয়া সওদাগর হাটে ওই মহিলাকে গতিরোধ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিগত ১৭ বছর আগে ছৈয়দা খাতুন ও কাছারীমোড়ার জালাল আহমদের পুত্র নুরুন্নবীর মধ্যে বিবাহ হয়েছিল। ওই দম্পতির সংসারে ২ মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে নুরুন্নবী ও স্ত্রী ছৈয়দা খাতুনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ২ মেয়েসহ ছৈয়দা খাতুন পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। স্বামী মাঝে মধ্যে এসে শাশুড় বাড়িতে স্ত্রী ও ২ মেয়েকে মারধর করে। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে স্ত্রী ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে করে স্বামী ওই দিন বারবাকিয়া বাজারে স্ত্রীকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে শাশুড় জাফর আহমদ ও নাতি মো: সাগর ওই স্থানে যায়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুন্নবী ধারালো কিরিচ নিয়ে শাশুড় জাফর আহমদকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। ছৈয়দা খাতুন জানান, নুরুন্নবী একজন মাদকাসক্ত। তিনি নেশা সেবন করেন ও আবার ইয়াবাও বিক্রি করেন। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের একটি মামলাসহ ৩ মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পেকুয়ায় সদর পশ্চিম জোন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত