ফিলিস্তিনে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে খেলতে গিয়ে দখলদার ইসরাইলিদের হয়রানির শিকার হয়েছে বাংলাদেশ দল।
জানা গেছে, সীমান্তে নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি করেছে ইসরাইল। এএফসি আগেই এই ভ্রমণসূচি ইসরাইলকে জানিয়েছিল। তারপরও ফুটবলাররা সেখানে হয়রানির শিকার হন।
সোমবার বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু ফিলিস্তিন থেকে জানিয়েছেন, জর্ডান থেকে সড়কপথে ইসরাইল হয়ে ফিলিস্তিনে যায় বাংলাদেশ ফুটবল দল। ইসরাইল সীমান্তে এই ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ফুটবলারদের।
অনেকটা হতাশ হয়ে এ ব্যাপারে রুপু বলেন, ‘অনেক ঝামেলা ও ভোগান্তির পর আমরা ফিলিস্তিনে পৌঁছেছি। বিশেষ করে ইসরাইলে ঢোকার সময় সীমান্তে সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে আমাদের ফুটবলারদের। এটি খুবই দুঃখজনক। তারপর সেখানে থেকে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার ভ্রমণে ফিলিস্তিনে পৌঁছেছি আমরা। তাই দলের খেলোয়াড়রা ক্লান্ত হয়ে পড়ে।’
এএফসি থেকে সব রকমের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বাংলাদেশ দল ফিলিস্তিনে গেছে। নিরাপদে ফিলিস্তিনে পৌঁছালেও ইসরাইল সীমান্তে বেশ ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ফুটবলারদের।
ফিলিস্তিনে সরাসরি বিমানে যেতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। নেপাল ও কাতারে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর দুবাইয়ে ট্রানজিট ছিল বাংলাদেশের। এরপর দুবাই থেকে বিমানে করে যায় জর্ডান। সেখান থেকে ইসরায়েলের সীমান্তের ভেতর দিয়ে বাসে ১২ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে পৌঁছায় ফিলিস্তিন।
আগামী ১৮ জুলাই বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচটি খেলবে জর্ডানের বিপক্ষে। এরপর ২১ জুলাই তাজিকিস্তান ও ২৩ জুলাই ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশের যুবারা।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে ঘোষিত ইসরাইল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি বাংলাদেশ। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের যোগাযোগও নেই।
ইসরাইলে বাংলাদেশী অনূর্ধ্ব ফুটবল টিম হয়রানির শিকার
Date:
Share post: