ডেস্ক নিউজ: করোনার তাণ্ডব রুখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ফাইজার ও মডার্না এবং অক্সেফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকা নিচ্ছে, তখন চীনের উপরই ভরসা রাখল তুরস্ক। ইতিমধ্যে নেয়া সেই টিকা প্রয়োগও শুরু করেছে তারা। যা সর্বপ্রথম নিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানী আঙ্কারার একটি হাসপাতালে তিনি এ টিকা গ্রহণ করেন।
এ সময় এরদোগান বলেন, ‘আমি টিকা নেয়ার পর ভালো অনুভব করছি।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এরদোগান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সব রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্যদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য করোনা টিকার আবেদন করা উচিত। এটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।’
এ সময় তিনি দেশজুড়ে ২ লাখ ৫০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকাকরণের আওতায় আনার কথা বলেন। তাদেরকে সম্মুখযোদ্ধা বলেও সম্বোধন করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। প্রথম পর্যায়ে চীনা সিনোভ্যাক বায়োটেকের ৩০ লাখ ডোজ করোনা টিকার চালান পৌঁছায় গত ৩০ ডিসেম্বর।
এদিকে করোনার তাণ্ডব যেন থামছেই দেশটিতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো ব্যতীত প্রায় সবকিছুই খোলা। তবে জারি রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা। তারপরও প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর মিছিল।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৩ লাখ ৬৫ হাজার মানুষের দেহে হানা দিয়েছে মহামারি করোনা। এর মধ্যে গত একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৬২ জন মানুষ। নতুন করে প্রাণ ঝরেছে ১৭০ জনের। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হাজার ৪৯৫ জনে ঠেকেছে।
তবে দেশটিতে আক্রান্ত বাড়লেও আশা জাগাচ্ছে সুস্থতার হার। স্বাভাবিক চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত বেঁচে ফিরেছেন ২২ লাখ ৩৭ হাজার রোগী। বর্তমানে একটিভ রোগীর সংখ্যা এক লাখ চার হাজর।