চট্টগ্রামে ফের করোনাভাইরাস শনাক্তের হার কিছুটা বাড়তির দিকে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। যা চট্টগ্রামে প্রথমবার। এছাড়া ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জন নগর এলাকার, আর ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ল্যাবে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
ল্যাবভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৪ জনের মধ্যে ২ জন ও পার্ক ভিউ হসপিটালে ৩৬ জনে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তবে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৯ জনের নমুনায় পরীক্ষায় করা হলেও কারও মধ্যে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
উপজেলা ভিত্তিক সাতকানিয়া ১ জন, কর্ণফুলী ১ জন এবং মীরসরাইয়ে ১ জন শনাক্ত হয়েছেন। বাকি ৭ জন নগর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শফিউল ইসলাম (৭৫)। তিনি মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পোস্ট অপারেটিভ জটিলতা এবং কিডনী ফেইলিউর নিয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন এবং একাধিক বার ডায়ালাইসিস গ্রহণ করে পরবর্তীতে তিনি কোভিড-১৯ ও ডাইগোনোসিস হয়। কিন্তু তিনি স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে চলে যান। বাড়িতে উনার মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এখনো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি একেবারে শেষ হয়নি। তাই জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।