নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে’মির্জা কাদের’

Date:

Share post:

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং আয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক িবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা সাম্প্রতিক সময়ে তার বিভিন্ন ের জন্য আলোচনায় এসেছেন। এবার নির্বাচনী এক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের বড় ভাইকে টেনে তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার ওপর রাগ করবে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না।

শনিবার (৯ জায়ারি) বসুরহাট পৌরসভার উপজেলা পরিষদের সামনে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত, ইসকান্দার বাবুল, আজম পাশা চৌধুরী রুমেল।
মির্জা কাদের বলেন, কোম্পানীগঞ্জে আজ অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। কবিরহাট ও ফেনীতে এক বাড়িতে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। গত দুইদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র এনেছে, আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। নোয়াখালীর প্রশাসন মাসওয়ারা খায়।

জেলা প্রশাসককে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, একজন পির নামযুক্ত মাস্ক কীভাবে আপনি পরেন। আপনিতো নিরপেক্ষ নন। ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার ওপর রাগ করবে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি আর কত সময় ধৈর্য ধরব।
তিনি বলেন, আমি নোয়াখালীর এসপিকে সব বলেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অস্ত্রধারীরা এখনো মহড়া দিচ্ছে। বিগত সময় যে সকল অস্ত্র জামায়াত-বিএনপি ব্যবহার করেছে তা এখনো উদ্ধার করা হয়নি। আমি অস্ত্রধারীদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার রোধ করছি। আমাদের দলের যারা অস্ত্র এনেছে তাদের কথা আমি ডিসি-এসপিকে বলেছি। যদি কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হয়, রং লাগানো, কোনো মায়ের বুক খালি হয় এর সকল দায় ডিসি এবং এসপিকে নিতে হবে। তাহলে ডিসি হবেন এক নাম্বার আসামি আর এসপি হবেন দুই নাম্বার আসামি। তাছাড়া ফেনী নোয়াখালীর ১১ জনের নামের প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠিয়েছি। আমার কিছু হলে তারা দায়ী থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর নেতাদের কারা শেল্টার দেয়? অথচ ঢাকা থেকে নো বললে তারা আর নেই। কিন্তু একজন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পরে পেট্রল দিয়ে তার গাড়ি পুড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু তাদের পরিবার আজও বিচার পায়নি। আজ ওই পরিবার যে ঘর থেকে বের হয়ে বিচার চাইবে তারও সুযোগ নেই। তাহলে কি ওই পরিবার বিচার পাবে না? করায় আমাকে পাগল উন্মাদ বলে। এক নেতা আমাকে বলে আমার নাকি দায়িত্বশীলতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি প্রশ্ন করি আপনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি, আপনার বাড়ি কুষ্টিয়া, আর সে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে। আপনি এগুলো বন্ধ করুন। আমি কাউকে ভয় পাই না, কি করবেন বহিষ্কার করবেন, জেলে দিবেন মেরে ফেলবেন? আমি সাদা কে সাদা, আর কলো কে কালো বলব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

পুনর্জন্ম নেবেন, উত্তরসূরি শনাক্ত করবে ট্রাস্ট, জানালেন দালাই লামা

তিব্বতি বৌদ্ধদের নেতা চতুর্দশ দালাই লামা বলেছেন, তিনি পুনর্জন্ম নেবেন এবং তার স্থাপিত অলাভজনক সংস্থারই কেবল তার উত্তরসূরি...

বিতর্কিত মন্তব্য: সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি চাকরিচ্যুত

ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী...

মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে, আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশেরই অল্প কিছুর লোকের বাজে কাজের জন্য বাকিরা সমস্যায় পড়ে। “আমি মধ্যপ্রাচ্যে কয়েকবার...

মৃত্যুর মুখেও পালায়নি ফিলিস্তিনিরা, কিন্তু পালাচ্ছে ইহুদিরা

গাজার ফিলিস্তিনিরা ২০ মাসের অবরোধ, স্থানচ্যুতি ও গণহত্যার পরও যেভাবে নিজেদের ভূমিতে টিকে থাকার অদম্য ইচ্ছাশক্তি দেখাচ্ছেন, সে...