বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে নিজ স্বামীকে হত্যা করেছেন এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যের জলপাইগুড়িতে। বিমাকর্মী উত্তম মোহন্তকে খুনের অভিযোগে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার স্ত্রী লিপিকা মোহন্তকে৷ জলপাইগুড়ির বাসিন্দা উত্তম মোহন্তর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার নিহতের মেয়ে শ্বেতা মোহন্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তার বিরুদ্ধে পুলিশকে যথাযথ তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, শ্বেতা জানত তার মায়ের সঙ্গে অনির্বাণ রায় নামে এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে৷ ওই অনির্বাণকে পালাতে নাকি শ্বেতাই সাহায্য করে, জানতে পেরেছে পুলিশ৷ ওই অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৯ জুন উত্তম মোহন্ত মারা যাওয়ার পর এক যুবককে নিয়ে সদর হাসপাতালে যায় তার স্ত্রী লিপিকা৷ সেখান থেকে এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট নেয় সে৷ স্বামীর মৃত্যুর কথা চাউর হওয়ার আগেই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে লিপিকা৷ এতেই সন্দেহ হয়ে প্রতিবেশীদের৷ খবর যায় পুলিশে৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তমবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে লিপিকাকে আটক করা হলেও পরে অসহযোগিতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পুলিশি জেরায় লিপিকা জানায়, প্রেমিক অনির্বাণই আমের রসের মধ্যে বিষ মিশিয়ে তার স্বামীকে খুন করেছে।
এই ঘটনায় লিপিকা মোহন্তর পাশাপাশি আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ধনঞ্জয় চতুর্বেদীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান, ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত লিপিকা মোহন্তর প্রেমিক অনির্বাণ রায়ের খোঁজ চলছে। ঘটনায় মদত করার অভিযোগে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককেও খোঁজা হচ্ছে বলে জানায় সে।
প্রেমিকের সাথে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন।
Date:
Share post: