ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছর কারাদণ্ডের আদেশ

Date:

Share post:

ফেনীর াদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্য ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় ডিজিটাল াপত্তা আইনের দু’টি ধারায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে মোট আট কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের চারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। ্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ২৯ ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ দুই ধারায় মোট আট বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ অর্থদণ্ড হয় ওসি মোয়াজ্জেমের। একটি সাজার পর অন্য সাজা কার্যকর হবে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড নির্ধারণ হয়।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নুসরাতের মামা সৈয়দ সেলিম ও ছোট ভাই রাসেদুল হাসান রায়হান। এজন্য মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে ধন্যবাদ জানান তারা।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ২৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা ১২৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালে। এরপর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ১৬ জুন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন ১৭ জুন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাে পাঠানোর আদেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার িম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলায় নুসরাতের বক্তব্য গ্রহণের সময় তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে। যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিডিওতে ধারণ এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের বী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। পরে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসার কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

নির্বাচনের কথা বললেই ভারত-আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে দিচ্ছে: দুদু

নির্বাচনের কথা বললেই দোষ হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের কথা বললে ভারতের দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু যারা...

লন্ডনে কোরআন পোড়ানো ব্যক্তি আদালতে দোষী সাব্যস্ত

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে তুরস্কের কনস্যুলেটের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছেন স্থানীয় একটি আদালত।...

বৈঠকে দুই বিষয়ে জোর দিয়েছে জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানত দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এর একটি...

বাজেটের দিনে দেশের রিজার্ভে সুখবর

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ২৫৮৮৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন বা ২৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার বলে...