চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যাকাণ্ডের বাদী তাঁর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তার তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ে পৌঁছেছেন।
মঙ্গলবার বেলা তিনটা ৪৭ মিনিটে তিনি তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সিএমপিতে পৌঁছান।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান বলছেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাবুল আক্তারকে কিছুক্ষণের মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে বাবুল আক্তার সিএমপিতে পৌঁছে সাবেক সহকর্মী ও উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করেন। তারপর তিনি সোজা সিএমপি ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলে যান। যেখানে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গতবছর ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডের বাসা থেকে কয়েকশ গজ দূরে জিইসি মোড়ে গিয়েছিলেন মিতু। মোটরসাইকেলে করে আসা কয়েকজন সেখানে ছেলের সামনে তাকে প্রথমে ছুরি মারে ও পরে গুলি করে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুল আক্তার। চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততাও মিতু হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে অল্প দিনেই সে ধারণা থেকে সরে আসেন তদন্তকারীরা।
হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যে ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র নেওয়ার খবর ছড়ালেও সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলছিলেন না।
তার ২০ দিন পর গত ১৪ অগাস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, বাবুলের অব্যাহতির আবেদন তার কাছে রয়েছে। আরও ২২ দিন পর ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি নেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশের সন্দেহের তালিকায় তাকে রাখা হয়েছে কি না- সে বিষয়ে কখনোই স্পষ্ট উত্তর দেননি তদন্তকারীরা।