রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করলেন অং সান সু চি

Date:

Share post:

মিয়ানমার থেকে সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনে ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি।

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও জানুয়ারিতে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত ছিল না।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে যেভাবে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়েছে, এখন ভাবলে মনে হয় তা হয়তো ভিন্নভাবে সামাল দেয়া যেতো।

গত বছরের অগাস্ট মাসে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের একটি সমঝোতা হলেও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি।

জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থার কর্মীরা বলছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। এক্ষেত্রে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেও বলেছেন কর্মকর্তারা।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বার্মিজ সেনাবাহিনীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশকারী দুই সাংবাদিককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে অং সান সু চি বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য নয়, বরং আইন ভঙ্গ করার জন্য তাদের শাস্তি হয়েছে।

অং সান সু চি মিয়ানমারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নন, কিন্তু তাকেই দেশটিতে ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করা হয়। রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য চেয়ে বিশ্বব্যাপী দাবি ওঠে।

বৃহস্পতিবার সেই নীরবতা ভেঙ্গে অং সান সু চি এই বক্তব্য দিলেন।

এ সপ্তাহেই জাতিসংঘের একটি সংস্থা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে দেশটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।

অং সান সু চির এসব বক্তব্যের জবাবে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, তিনি সবকিছুই ভুল বুঝেছেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তদন্ত করা উচিত বলে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ওই রিপোর্টে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব এবং দাসত্বে বাধ্য করার বর্ণনা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে এসবের সঙ্গে সেখানে নিরাপত্তা হুমকির কোন সম্পর্ক নেই।

তবে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি মিয়ানমারের নেত্রী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...