ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব কি কেনা যায়?

Date:

Share post:

ইউরোপীয় উনিয়নের যেসব অর্থের বিনিময়ে নাগরিক্ব ওয়া যায় সেসব দেশের নাগরিকত্ব প্রদানের কর্মসূচি খতিয়ে দেখছে ইউরোপীয় কমিশন।

এই কর্মসূচিতে দুর্নীতি, কর ফাঁকি এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে ঝুঁকি তৈরি হওয়ার প্রেক্ষিতে তারা এই ঘোষণা দিয়েছে।

আসলেই কি তাই? ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব নেওয়া কতোটা সহজ?

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি সদস্য দেশের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব হণের মাধ্যমে আপনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক হয়ে উঠতে পারেন।

নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে ই ইউর প্রত্যেকটি দেশেরই আছে আলাদা আলাদা নিয়ম, শর্ত এবং আইন কানুন।

কোন কোন দেশ আছে যেসব দেশের তাদের দেশে বড় ধরনের অর্থ বিনিয়োগের বিনিময়ে লোকজনকে নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।

বন্ড, স্থাবর সম্পত্তি কিম্বা অন্য কোন ধরনের আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে এটা করা সম্ভব।

এর সাথে হয়তো আরো কিছু শর্ত থাকতে পারে- যেমন ওই দেশে বসবাসের আইনি অধিকার।

এসব দেশের মধ্যে মাল্টা, সাইপ্রাস এবং বুলগেরিয়াতে এধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।

মাল্টায় নাগরিকত্ব প্রার্থনা করে কেউ যদি েদন করে থাকেন, দেশটির জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে তাকে সাড়ে ছয় লাখ ইউরো জমা দিতে হবে। এছাড়াও আরো দেড় লাখ ইউরো দিয়ে কিনতে হবে মাল্টার সরকারি বন্ড কিম্বা স্টক।

এবং আরো সাড়ে তিন লাখ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থের স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ বাড়িঘর কিম্বা জমিজমা কিনতে হবে।

অর্থাৎ মাল্টার নাগরিকত্ব কেনা যাবে মোট সাড়ে ১১ লাখ ইউরো খরচ করে।

পাশাপাশি আছে আরো কিছু শর্ত। আপনাকে অন্তত ১২ মাসের জন্যে ওই দেশের বাসিন্দা হতে হবে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৩৮৬ জন ব্যক্তি এই কর্মসূচির আওতায় মাল্টার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।

মাল্টার সরকার বলছে, এই সময়কালে তারা নাগরিকত্ব কর্মসূচির মাধ্যমে ৪০ কোটি ইউরো সংগ্রহ করতে পেরেছে।

এটা মাল্টার মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশের সমান।

তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশেই এরকম বিনিয়োগের মাধ্যমে সরাসরি নাগরিকত্ব গ্রহণের কর্মসূচি নেই।

তবে বহু দেশের সরকার তাদের দেশে অর্থ বিনিয়োগের জবাবে বসবাসের সুযোগ দিয়ে থাকে।

যেমন ধরা যাক ব্রিটেনের কথা। সেখানে কেউ যদি অন্তত ২০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করেন তাহলে তাকে ইনভেস্টর ভিসা দেওয়া হয়।

কয়েক বছর বসবাস করার পর তিনি এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার চেয়ে আবেদন করতে পারেন।

ে ২০১৭ সালে এরকম ৩৫৫ জন বিনিয়োগকারীকে ইনভেস্টর ভিসা দেওয়া হয়েছে।

সেবছর যুক্তরা কাজের জন্যে যতো ভিসা দিয়েছিল এই ইনভেস্টর ভিসা ছিল তার শূন্য দশমিক তিন শতাংশ।

সুতরাং যেটা পরিষ্কার সেটা হলো: বড় ধরনের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। তবে এর সাথে হয়তো আরো কিছু শর্ত থাকতে পারে।

তবে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, খুবই অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ এধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

‘যারা ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে’

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি চালানোদের বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)...

বিচ্ছেদের ৮ বছর পর ‘ভুল বুঝতে পারলেন’ মিথিলা

জনপ্রিয় তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সম্পর্ক বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু হয়েছিল। ২০০৬ সালের ৩...

গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস

গাজায় যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হামাস জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী বিভিন্ন সশস্ত্র দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে...

জুলাইয়ে শহীদ হতে না পারাটা আমার জন্য আফসোস—ফেসবুকে আসিফ মাহমুদ

যুব, ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক...