মার্কিন সেনেটর জন ম্যাককেইন (৮১) শনিবার রাতে প্রাণত্যাগ করেছেন।
রিপাবলিকান পার্টির তরফে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের আসনে মি. ম্যাককেইন মোট ছয়বার মার্কিন সংসদের উচ্চ-কক্ষ সেনেটে নির্বাচিত হন।
গত তিন দশকে মার্কিন রাজনীতির একজন মহীরুহ জন ম্যাককেইন ছিলেন, যাকে বলে একজন ‘ফ্যামিলি ম্যান’ -পরিবারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক স্বামী এবং পিতা।
আর সেই সংযোগ তাকে দিয়েছে বাংলাদেশের সাথে এক মানবিক আত্মীয়তার সম্পর্ক।
তার সাত সন্তানের একজন বাংলাদেশের মেয়ে। নাম তার ব্রিজেট ম্যাককেইন।
এবিসি নিউজ জানাচ্ছে, সেনেটর ম্যাককেইনের স্ত্রী সিন্ডি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে সফর করেছিলেন।
সে সময় ঢাকায় মাদার তেরেসার এক অনাথ আশ্রমে তিনি ১০ সপ্তাহের এক শিশুকে দেখতে পান যার মাড়ি এবং ঠোঁট এমনভাবে কাটা ছিল যে সে ভালভাবে খেতে পারতো না।
এই দৃশ্য দেখে মিসেস ম্যাককেইন তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন যে মেয়েটিকে তিনি দত্তক নেবেন। এবং তার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
মিসেস ম্যাককেইনের একজন সহকারী ওয়েস গালেট জানান, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিসেস ম্যাককেইনকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে বেশ দেন-দরবার করতে হয়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার ইচ্ছেই বজায় থাকে।
সেনেটর ম্যাককেইন প্রথমবারের মতো মেয়েটিকে দেখেন যখন সিন্ডি ম্যাককেইন মেয়েটিকে নিয়ে অ্যারিজোনার ফিনিক্স বিমানবন্দরে এসে নামেন।
মি. গালেট জানাচ্ছেন, “সেনেটর জিজ্ঞেস করলেন ‘এ এখন যাবে কোথায়?’ মিসেস ম্যাককেইন জবাব দিলেন, ‘কেন আমাদের বাড়িতে।'”
“সেই দিন জন ম্যাককেইনের যে মুখ আমি দেখেছিলাম সেটা একজন সেনেটর মুখ ছিল না। ছিল একজন বাবার। একজন দয়ালু মানুষের।”
আমেরিকায় পৌঁছানোর পর ব্রিজেটের মুখে অনেকগুলো অপারেশন করা হয়। এবং তার ঠোঁট ও মাড়ির কাটা অংশ জোড়া লাগানো হয়।