বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ফটোগ্রাফার শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা এবং গ্রেফতার দেখানোর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, মি. আলমের বিরুদ্ধে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে ‘ইন্টারনেটে ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়াতে কল্পনাপ্রসূত উস্কানিমূলক মিথ্যা তথ্য’ প্রচারের অভিযোগ আনা হয় রোববার রাতে ঢাকার তার ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
মি. আলমকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করার পর ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ, তবে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের একজন মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেন, তাকে আটক করার পর গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে কি কারণ শহীদুল আলমকে আটক করা হয় এই বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
তবে বার্তা সংস্থা ইউএনবির সংবাদে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তার কিছু ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মি. আলমকে আটক করেছে”। তবে তার পরিবার আজ এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, কেন তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তার পরিবারকে গোয়েন্দা পুলিশের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
শহীদুল আলমকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাবার পর তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ রাতেই এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন ওই থানার ডিউটি অফিসার এস আই মহিদুল ইসলাম। শহীদুল আলম দৃক গ্যালারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যান।