গর্ভের সন্তানকে দ্বি-খণ্ডিত করার অভিযোগে কুমিল্লার পাঁচ চিকিৎসকসহ সাতজনকে হাইকোর্টে তলব

Date:

Share post:

অস্ত্রোচারের সময় সূতির গর্ভের সন্তানকে দ্বি-ণ্ডিত করার অভিযোগে কুমিল্লার সিভিল সার্জন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচা আর অস্ত্রোপচারকারীসহ পাঁচ চিকিৎসককে তলব করেছে লাদেশের হাইকোর্ট।

৪ঠা এপ্রিল হাইকোর্টে হাজির হয়ে তাদের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

সম্ি দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আইনজীবী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।

জুা বেগম নামের ওই প্রসূতির স্বামী সফিক কাজীর সঙ্গে কথা বলেছেন কুমিল্লার স্থানীয় সাংবাদিক সা মাহমুদ পারভেজ।

সফিক কাজীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বিবিসিকে জানান, প্রসব বেদনা নিয়ে তার স্ত্রী জুলেখা বেগম গত ১৭ই মার্চ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন তার অস্ত্রোপচার হয়। তার মৃত সন্তান হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে হাসপাতালের একজন দারোয়ান মৃত নবজাতককে কবর দেয়ার জন্য তার কাছে ৫০০টাকা চান। এ সময় তিনি দেখতে পান যে, মৃত শিশুটির মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।

তার স্ত্রীর জরায়ুও কেটে ফেলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে কথা হয় কুমিল্লার সিভিল সার্জন মোঃ ুর রহমানের সাথে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ”মুরাদনগর থেকে পেটে মৃত বাচ্চা নিয়েই গত সপ্তাহে জুলেখা নামের ওই রোগী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় শিশুটির হাত এবং পা জরায়ুর বাইরে চলে এসেছিল।”

তিনি বলেন, ”বাচ্চা দ্বিখণ্ডিত করার অভিযোগটি সত্যি নয়। বাড়িতে তার প্রসব করানোর চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু মাথাটি ভিতরে আটকে থাকায় তারা পারেনি। পরে তলপেট কেটে, জরায়ু কেটে বাচ্চাটির মাথা বের করতে হয়েছে। এ সময় মাকে বাচাতে জরায়ুটিও ফেলে দিতে হয়েছে।”

মাকে বাঁচানোর জন্য বিকল্প পথ ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।

এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টের রুলে।

সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, কুমিল্লার সিভিল সার্জন, মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পরিচালক, অস্ত্রোপচারে অংশ নেয়া চিকিৎসকদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৫শে অক্টোবর কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুরে লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক প্রসূতির একটি বাচ্চা বের করে আনা হয়। কিন্তু আরেকটি বাচ্চাকে টিউমার মনে করে সেলাই করে দেয়া হয়।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে পেটে থাকা মৃত বাচ্চাটিকে বের করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

বাড়িতে মায়ের লাশ, অশ্রু চেপে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই মেয়ে

মা নেই—রাতের আঁধারে চিরবিদায় জানিয়েছেন পৃথিবীকে। চারপাশে শোকের মাতম, বাড়িতে চলছে দাফনের প্রস্তুতি। এমন শোকের মুহূর্তে বুক ভরা...

এবার মুরাদনগরে নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় ভাঙ্গরা বাজারে করইবাড়ি গ্রামে...

ড্রেসিংরুমে কফি খাচ্ছিলেন তাসকিন, এসে দেখেন ৫ উইকেট শেষ

লঙ্কানদের প্রথম ওয়ানডেতে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ দল। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও মাঝে ৬ রানের ব্যবধানে ৭...

নিজ দেশে দ্রুত আস্থা হারাচ্ছেন নেতানিয়াহু

নিজ দেশের মানুষের ওপর থেকে দ্রুত আস্থা হারাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক জরিপে দেখা গেছে তাঁর ওপর...