ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন। তার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে প্রতিবেদনটি চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় এসে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
তবে এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দিয়াজের পরিবার। তারা নতুন করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার বিকালে আদালতে আবেদন জানাবেন।
জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে আজ বুধবার সকালে হাটহাজারী থানায় পাঠানো হয়েছে। ওই থানার ওসি বেলাল উদ্দিন ফোন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ ঘটনাটিকে ‘সুইসাইডালি ন্যাচার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এটি সুস্পষ্ট আত্মহত্যা। আর যেহেতু এটি আত্মহত্যা তাই এ ব্যাপারে পুলিশের আর কিছুই করার নেই। নিয়ম অনুযায়ী এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
তাহলে এখন দিয়াজের ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এখন আর সে সুযোগও নেই। কারণ, ভিসেরা পরীক্ষা করা হয় সাধারণত মৃত ব্যক্তির শরীরে টক্সিক বা বিষজাতীয় কিছু প্রবেশ করার আশঙ্কা থাকলে। কিন্তু, এক্ষেত্রে শ্বাসরোধের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাই পাকস্থলীর কোনও অংশ বা লালা সংরক্ষণ করার সম্ভাবনা কম। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার জানবেন। তবে আইনগতভাবে পুলিশ এ বিষয়ে আর কোনও উদ্যোগ নেবে না।’
এদিকে দিয়াজের আত্মহত্যা লেখা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে তার পরিবার। দিয়াজের ভগ্নিপতি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সারওয়ার আলম জানান, ‘দিয়াজ আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা মনে করি এই ময়না তদন্ত প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যমূলক এবং কারও দ্বারা প্রভাবিত। আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি।’
তিনি আরও জানান, ‘এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর তারা হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাদের মামলা গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তারা আজ বিকালে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়ে হত্যা মামলা করবেন এবং নতুন করে ময়নাতদন্তের আবেদন জানাবেন।’
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও সংগঠনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন দিয়াজ ইরফান চৌধুরী। গত রবিবার (২০ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর প্রবেশ গেটের সামনে অবস্থিত বাসার নিজ কক্ষে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।