রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সরকারের সাম্প্রতিক বর্বরতা বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক শক্তির হস্তক্ষেপ চেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, অবিলম্বে যদি এই নির্যাতন বন্ধ করা না হলে বাংলাদেশে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করা হবে।শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বিশ্ব সম্প্রদায় বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বললেও মিয়ানমারের সংখ্যালঘুদের উপর চালানো এই নির্যাতনের কোন প্রতিবাদ করছে না।সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।আরাকান রাজ্যে গণহত্যার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে সংহতি জানিয়েছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল, বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রোবাইয়াতুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী।বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও সংহতি জানানো হয়। সংগঠনগুলো হচ্ছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, স্লোগান ৭১, কালচারাল সোসাইটি, মাইম অ্যাকশন।মানববন্ধনে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, মিয়ানমারের মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালানো হলেও আন্তর্জাতিক মহল আজ নীরব ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিতে বলছে। এটা ন্যাক্কারজনক।এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।