মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়ে সংক্ষিপ্ত সফরে আগামীকাল সোমবার ভোরে ঢাকায় আসছেন।

Date:

Share post:

মিয়ানমারের েট কাউন্সেলর অং সান সু চির ের মন্ত্রী টিন্ট সোয়ে ্ষিপ্ত সফরে ীকাল সোমবার ভোরে ঢাকায় আসছেন। রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতার পর সেখান পাঁচ লাখের বেশি প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জানান, টিন্ট সোয়ে সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গ। বিশেষ করে, তাদেরনিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে বাংলাদেশ। সমস্যার উৎস যেহেতু মিয়ানমারে, সমাধানটাও মিয়ানমারকেই করতে হবে—এই বার্তা দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সংকট চলাকালে রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশে আসছেন মিয়ানমারের কোনো মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের অন্য একজন কর্মকর্তা গতকাল দুপুরে এই প্রতিবেদককে জানান, সম্প্রতি নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ওপর জোর দেবে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের শেষ ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই আলোচনায়ও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জোর দিয়ে েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে মিয়ানমারকে একটি রূপরেখাও দিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় এলে মিয়ানমার যেন এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে আসে, সেটাও নিউইয়র্কের আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছিল। তাই সোমবারের আলোচনায় এটাই থাকবে মূল প্রসঙ্গ।

বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মনে করেন, নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবারের উন্মুক্ত আলোচনার পর রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বেড়েছে। রাখাইনে দ্রুত সহিংসতা বন্ধ, সেখানে জরুরি ত্রাণকর্মীদের ারিতভাবে যেতে দেওয়া এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের প্রায় সবাই জোর দিয়েই বলেছেন। এর ফলে সু চির দপ্তরের মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ওপর জোর দেবে বাংলাদেশ।

গত অক্টোবরে সীমান্তচৌকিতে সন্ত্রাসী র জেরে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অক্টোবরের ওই সহিংসতার পর প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য জানুয়ারিতে সু চির বিশেষ দূত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিউ তিন ও জুলাইতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন বাংলাদেশে আসেন। দুবারই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কী করা উচিত, সেটা বাংলাদেশ খুব স্পষ্ট করেই মিয়ানমারকে জানিয়েছে। মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা এ নিয়ে সহযোগিতার কথা জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে মিয়ানমারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন আছে বাংলাদেশের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

নেতানিয়াহুর সমালোচনা করায় জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জাতিসংঘের স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৯ জুলাই)...

কোচিংয়ের অনলাইন লাইভ ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষিকার অশ্লীলতা, থানায় অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার পরিবেশে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেছেন একজন অভিভাবক। বুধবার (৯ জুলাই)...

এসএসসির ফল, কমতে পারে ‘এ প্লাস’

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় দেশের ১১টি শিক্ষা...

হোয়াটসঅ্যাপকে টেক্কা দিতে আসছে নতুন অ্যাপ, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই 

জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপকে টেক্কা দিতে নতুন মেসেজিং অ্যাপ নিয়ে আসছে টুইটারের (বর্তমান এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিইও...