মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অসৎ একটি সিন্ডিকেট দেশে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে অধিক মুনাফা লুটছে। মসল্লাসহ ভোগ্য পণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে সিন্ডিকেটটি জিম্মি করে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। এখানেই আমাদের দায়িত্ব শেষ নয়। সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক কল্যাণে আমাদেরকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার(১৪সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাঁর চশমা হিলস্থ বাসভবনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের এক সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
মহিউদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীদের নিয়ন্তা সংগঠন চেম্বার অব কমার্স চালসহ ভোগ্য পন্যের দাম রোধে নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জনগণের ভোগান্তি ও দূর্ভোগ লাঘবে তারা উদাসীন। তারা নিজেদের স্বার্থটাকেই বড় করে দেখে। চালের আমদানী শুল্ক মাত্র দুই শতাংশ বাড়ানো হলেও আমদানীকৃত এবং আমদানীকৃত নয় চালের দাম বেপরোয়াভাবে বেড়ে চললেও চেম্বার অব কমার্সের কোন মাথা ব্যথা নেই। চালসহ ভোগ্য পণ্যের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা না হলে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত কর্মসূচি দেয়া হবে। তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনসহ অন্যান্য নাগরিক সমস্যা এবং সড়কের বেহাল অবস্থা কাটিয়ে তুলতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।
তিনি জানান এবারের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা সাধারণ মানুষের মাঝে অর্থনৈতিক মুক্তির বার্তা পৌঁছে দেবে এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস নির্মূলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা জনতাকে সংগঠিত করা হবে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব পদে সাত জনের নাম সংযুক্ত করা হয়। এঁরা হলেন মোহাম্মদ ইউনুছ, আহমদুর রহমান সিদ্দিকী, আলহাজ্ব বদিউল আলম, এম.এ মনসুর, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি স্পেসাল, মোহাম্মদ শাহজহান ও পান্টু লাল সাহা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন-মোহাম্মদ ইউনুছ, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, অমল মিত্র, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি স্পেসাল, এম.এ মনসুর, পান্টু লাল সাহা, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মোঃ শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, শেখ শহিদুল আনোয়ার, আবুল মনসুর, ফরিদ মাহমুদ, তপন বড়ুয়া প্রমুখ।