বাংলাদেশে সুন্দর ও জনপ্রিয় সৈকতগুলোর অন্যতম চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। বিশেষ করে সূর্যাস্ত দেখার জন্য এ সৈকতের বিশেষ কদর রয়েছে পর্যটকদের কাছে। তবে নানাভাবে আপন বৈশিষ্ট্য হারাতে বসেছিল সৈকতটি। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নয়নাভিরাম এ সৈকতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে পর্যটকদের নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে সৈকতের সি-সাইড থেকে দোকানগুলো উচ্ছেদ করে কান্ট্রি সাইডে আধুনিক নকশার দোকানে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বাগানগুলো ফের সাজানো হয়েছে। সৈকতের স্ট্রিট ল্যাম্পগুলো ফের চালু করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে শৌচাগার, চেঞ্জিং রুম, ক্যাফেটেরিয়াসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের জন্য অফিস নির্মাণ এবং পুরো সৈকত এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, পর্যটকদের যানবাহনের নিরাপত্তার স্বার্থে আধুনিক গাড়ি পার্কিং সুবিধা চালু এবং পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের পাশে ৩৩ একর জায়গা নিয়ে জেলা প্রশাসন প্রাথমিকভাবে ইকো পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব কাজ বাস্তবায়ন হলে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতটি নতুন অবয়ব পাবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত আধুনিকায়নে নানা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষ ও অভ্যর্থনা কক্ষ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিভিন্ন অফিস কক্ষ ও কোর্ট রুম সংস্কারের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে অফিসার্স ক্লাবের অফিস কক্ষ, ইনডোর ব্যাডমিন্টন কোর্ট ও ডিসি হিল গেটের আধুনিকায়ন করা হয়েছে।