রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেলপথ ব্লকেড করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দুপুর ১টার দিকে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কর্মসূচি চলতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় এ স্টেশনের উভয়প্রান্তে ৬টি ট্রেন আটকা পড়েছে।
ফলে ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের রেল যোগাযোগে বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি সিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ জানান, ব্লকেডের কারণে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী ৬টি ট্রেন রাস্তায় আটকা পড়েছে। এরমধ্যে শরৎনগর স্টেশনে চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস, লাহিড়ী মোহনপুরে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, টাঙ্গাইলে দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস, জামতৈলে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ইব্রাহিমাবাদে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ও পাবনার চাটমোহরে ঢাকাগামী তেলবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।
অবরোধের স্থায়ীত্ব আরো বাড়লে সিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছেন তিনি।
বক্তারা বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে গত ২৬ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন চলছে। এ অবস্থায় গত রবিবার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেই দিন দাবি মানতে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছিল।
এরপরও সরকারের কোনো পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। যে কারণে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলপথ ব্লকেড করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ৯ বছরেও বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মিত হয়নি। ভাড়া ভবনে চলছে কার্যক্রম চলছে। এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই। এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, আমরা ঘরে ফিরব না। তারা ডিপিপি পাস না হওয়ায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিরোধীতাকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেন।
আন্দোলন চলাকালে বক্তব্য দেন- সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় সরকার, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুজানা, সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মমিন, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মুইজ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৃষ্টি ব্যানার্জি ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান।