গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বড়চালা এলাকায় কাভার্ডভ্যান-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের বাবা, মা ও ছেলেসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) মাওনা-কালিয়াকৈর সড়কের উপজেলার বড়চালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার ঈশ্বরঘাট গ্রামের ছাবেদ আলী প্রামানিকের ছেলে মো: জাহিদুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩০), তাদের ছেলে মো: হুরাইরা (১২), এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম(৫৫) ও সিএনজি চালক মুক্তার হোসেন (৬০)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাওনা চৌরাস্তা থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মাওনা-কালিয়াকৈর সড়কের উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে সড়কের পাশে সিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে বাবা জাহিদ ও তার ছেলে হুরায়রা নিহত এবং জাহিদের স্ত্রী ও অপর দু’জন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সাভার এনাম মেডিক্যালে সিএনজি চালক মোক্তার হোসেন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। স্থানীয়রা কাভার্ডভ্যানটি আটক করছে। বাকি তিনজনকে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুইজন মারা যান। পরে সাভার এনাম মেডিক্যালে সিএনজি চালক মোক্তার হোসেন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সুরুজ উজ জামান জানান, ‘দুর্ঘটনার পর কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, বারবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কালিয়াকৈর-মাওনা সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দ্রুতগতিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, স্পিডব্রেকার, ও ট্রাফিক তদারকি ছাড়া এ পথ যেন মৃত্যু ফাঁদে রূপ নিচ্ছে।