নওগাঁয় স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে ওই নারীর স্বামী নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে শহরের আনন্দনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সুমন (৩২)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের মোহাম্মদ বাবুর ছেলে।
স্থানীয় এবং থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩-৪ বছর আগে শহরের আনন্দনগর এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে ময়ূরী (২৪) এর সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমন তার স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বুধবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে মাদক সেবন করায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীর গলা এবং হাতে কোপ দেন তিনি। এতে তার স্ত্রীর বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুমনে মৃত্যু হয়। আর মূয়রীকে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ আহত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই নারীর স্বামী মারধরে মারা যায়। নিহত সুমনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ময়ূরীর হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। মরদেহ নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।