ক্যামেরা দেখেও তাদের মধ্যে কোনো বিকার নেই। শিশুরা খুব একটা তাকাচ্ছেও না। এই শিশুরা তাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত দেখছে মৃত্যু, মৃতপ্রায় এবং মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা মানুষদের। আর কীইবা তাদের অবাক করবে? ক্ষুধা তাদের কাবু করে ফেলেছে।
একেবারেই কিছুই হয়তো পাবে না জেনেও তারা লাইনে অপেক্ষা করে সামান্য রেশনের জন্য।
আমার যে সহকর্মী ছবি তুলছেন, এই শিশুরা তাকে এবং তার ক্যামেরা নিয়মিত দেখে অভ্যস্ত।
শিশুদের ক্ষুধা, তাদের মৃত্যু, মৃত্যুর পর আলতোভাবে তাদের শরীর, কখনোবা শরীরের কিছু অংশ সাদা কাফনে জড়িয়ে দেয়া- এই সবই দেখে চলেছেন আমার সহকর্মী। তার নিরাপত্তার জন্য আমি তার নাম প্রকাশ করছি না
যদি মৃত শিশুর নাম জানা থাকে তাহলে কাফনের ওপর তাদের নাম লিখে দেয়া হয়, অনেকেই থেকে যায় অজ্ঞাত।