জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পৃক্ত ৮০টি সংগঠনের জোট ‘জুলাই ঐক্য’- এর অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ টিবিএসকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধা ব্যানারে কোনো সংগঠন কিংবা প্ল্যাটফর্ম নেই। এই নামে কোনো ব্যানারের তৎপরতাও আমরা সেভাবে শুনিনি।’
সম্প্রতি রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’-নামের একটি সংগঠনের ব্যানার টাঙানো দেখা যায়। তবে কে বা কারা এই ব্যানার টাঙিয়েছে এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ‘ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই’- এর আহ্বায়ক আবু বকর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস)-বলেন, ‘ব্যানারটি আমাদের নয়, এধরনের কোনো কাজে আমাদের কোনো সদস্য জড়িত না। আমাদের সুনির্দিষ্ট অর্গানোগ্রাম ও রুলস আছে। এটি অন্যরা কেউ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ব্যানার সর্বদা ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই হিসেবেই ব্যবহার করি। জুলাই যোদ্ধা ব্যানারটি কার, কি তাদের উদ্দেশ্যে সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পৃক্ত ৮০টি সংগঠনের জোট ‘জুলাই ঐক্য’- এর অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ টিবিএসকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধা ব্যানারে কোনো সংগঠন কিংবা প্ল্যাটফর্ম নেই। এই নামে কোনো ব্যানারের তৎপরতাও আমরা সেভাবে শুনিনি।’
এর আগে, দুইদিন আগে ১৪মে এক ভিডিওতে দেখা যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল নিয়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। এখন থেকে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করবে। নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনটিতে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের’ একটি ব্যানারও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, সেখানে ওই ব্যানারটি টানিয়ে দিচ্ছেন। ব্যানারে লেখা- ‘জুলাই যোদ্ধাদের প্রধান কার্যালয়’। এতে ঠিকানা লেখা আছে, ‘২৩ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ’। এতদিন স্থানটি ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ নামে থাকলেও সম্প্রতি নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ’ নামকরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও গত বুধবার একই ব্যানারে ঠাকুরগাঁও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামের একটি সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে সেটি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খুলে ফেলা হয়।