যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন এই আদেশ আদালত পর্যন্ত গড়াবে।
ট্রাম্প তাঁর অভিষেক শেষে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় ২০,০০০ সমর্থকের সামনে বসে এক রাশ নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন। পরবর্তীতে তিনি হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে বসে আদেশে সাক্ষর করেন।
প্রথমেই তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জারী করা ৭৮টি আদেশ স্থগিত করেন। বাইডেন তাঁর মেয়াদের শেষ দিকে এই আদেশগুলো জারী করেছিলেন, যেগুলোর বেশ কয়েকটি বাস্তবায়ন হয় নি।
এক আদেশের মাধ্যমে ট্রাম দেশের দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে “জাতীয় জরুরী অবস্থা” ঘোষণা করেন।
অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে ট্রাম্প শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচী স্থগিত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া মানুষের আমেরিকান নাগরিকত্ব অধিকার বন্ধ করেন।
আদেশে সাক্ষর করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তাঁর এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব “একেবারে হাস্যকর” এবং তাঁর বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য “ভাল আইনগত যুক্তি” আছে।
তিনি মাদক চক্রগুলোকে বিদেশী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেন।