শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সাদিক হাসান পলাশের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনের সহ-আয়োজক ইউনিভার্সিটি সুমাতার উত্তারা, ইন্দোনেশিয়া ও ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া, মালয়েশিয়া।
সম্মেলনে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ ১০টি দেশের গবেষক, শিক্ষকরা অংশ নেন।
দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনটি উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউএপির ফুল অব মেডিসিনের ডিন, অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আমরা আগামী দুই দিনে ১০টি দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতিশীল আলোচনা এবং ধারণার আদান-প্রদান করার জন্য উন্মুখ, যারা এই সম্মেলনের বৈশ্বিক গুরুত্বকে তুলে ধরবেন।
ইউএপি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান স্থপতি মাহবুবা হক তার বক্তব্যে বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান ফার্মাসিউটিক্যাল এবং স্বাস্থ্যসেবায় স্থায়ী উন্নয়ন অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আমরা এখানে ধারণা ও উদ্ভাবনের আদান-প্রদান করতে সমবেত হয়েছি। আমি ছাত্রদের শক্তির কথা মনে করি, যারা এই নতুন যুগে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
তিনি আরও বলেন, মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করতে হবে, সব জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে। আজ যারা এখানে ছাত্রছাত্রী আছেন, তারা অবশ্যই ভালো ফার্মাসিস্ট হবেন, আর মানবিকভাবে ভালো ফার্মাসিস্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন।
ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এই সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফার্মেসি কাউন্সিলের সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহমেদ এবং ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুল হক।
সম্মেলনে প্ল্যানারি বক্তা, আমন্ত্রিত বক্তা, পোস্টার উপস্থাপক এবং মৌখিক উপস্থাপকরা বিভিন্ন গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও আকর্ষণীয় প্লেনারি সেশনে অংশ নেন। ৯টি গুরুত্বপূর্ণ সিম্পোজিয়ামে ফার্মাসিউটিকস, ফার্মেসি শিক্ষা, বায়োটেকনোলজি, সংক্রামক রোগ, ক্যানসার গবেষণা, মহামারি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা নিয়ে আলোচনা হয়।
এই সম্মেলন ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে পুরস্কার বিতরণী এবং গালা ডিনারের মধ্য দিয়ে এটির সমাপ্তি হবে।
এই সম্মেলন ইউএপির ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণায় অগ্রগতির প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। পাশাপাশি এটি ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে।