অধিকাংশ জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস এম হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অধিকাংশ ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে অপসারণ করা হয়েছে।
ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলো ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিকট অতীতে ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ পদে এত বড় রদবদল দেখা যায়নি। ক্রীড়াঙ্গন ঢেলে সাজাতে গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠদের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণ করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের গোড়ার দিকে কাবাডি ফেডারেশন, দাবা ফেডারেশন ও ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতিকে অপসারণ করা হয়।
অপসারণ করা হয়েছে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদককেও। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে অপসারণ করা হলো আরও ৪২ ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে।
ব্যাডমিন্টনের পদ ছাড়লেন সার্চ কমিটির প্রধান
এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস এম হুমায়ুন কবির কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ পদে রদবদল প্রসঙ্গে কথা বলার এখতিয়ার আমার নেই। আমি কেবল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ করছি।’
৪২ ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ পদে রদবদলের পর দ্রুতই ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা হবে বলে কালবেলাকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র। সূত্রটি জানিয়েছে, ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো ঢেলে সাজাতে সার্চ কমিটি এরই মধ্যে বেশকিছু বিষয়ে সুপারিশ করেছে।
তার ভিত্তিতে সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। দ্রুতই ফেডারেশনগুলোর শীর্ষ পদে বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পরে বিভিন্ন ফেডারেশনের কমিটিও ঢেলে সাজানো হবে। এ প্রসঙ্গে সার্চ কমিটির প্রধান জোবায়েদুর রহমান রানা কালবেলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন ফেডারেশনের শীর্ষ পদে একই ব্যক্তিকে রাখতে হবে—এমন বাধ্যবাধকতা নেই। বড় রদবদল আসতে পারে। ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর কার্যক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়—সেটা মাথায় রেখেই পুনর্গঠন করা হবে।’
ফেডারেশনগুলোর শীর্ষ পদে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়িকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে আসছিল বিগত সরকারগুলো। ক্রীড়াঙ্গন পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে সব উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা এবং সব মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
কমিটিগুলো ঢেলে সাজানোর প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়ার পর কমিটি নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের তৃণমূলে হট্টগোল শুরু হয়। তাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিবর্তে তৃণমূলে সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।