আদালত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য নির্ধারিত দিন। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্ত সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নির্ধারিত সাধারণ নিবন্ধন শাখায় কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
তদন্ত সংস্থা র্যাব বলছে, গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, মামলার তদন্ত সংস্থা যদি তদন্ত করতে না পারে অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা যেতে পারে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন।
দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছরে মামলার তদন্ত সংস্থাও পরিবর্তন হয়েছে কয়েকবার। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার হস্তান্তর হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়।
পরে হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার যায় র্যাবে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ১০ বছর ১০ মাস গড়ালেও র্যাব এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম বলেন, মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুুল্লাহ আবু বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মামলাটির দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা উচিত। তদন্ত সংস্থা র্যাব যদি তদন্ত করতে না পারে অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে তদন্ত করানো যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, মামলার পর রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। তাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র জামিনে আছেন। অন্য আসামিরা এখনো কারাগারে রয়েছেন।