সময় নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা শুধু পরিকল্পনাই করছি না, সেটা বাস্তবায়নও করছি।
‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ,এনএসটি ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদানে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
নতুন প্রজন্মকে দেশের এ এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,‘এখানে থামলেই চলবে না। আমরা কারো থেকে পিছিয়ে থাকবো না। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবো। তাহলেই গড়ে ওঠবে দক্ষ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট জনগোষ্ঠী।
গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতবেশি গবেষণা বাড়বে ততবেশি জাতি হিসেবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের দেশের মানুষ অবদান রাখতে পারবে।
গবেষণা আমাদের সাফল্য এনে দিতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি; আমিষ উৎপাদনে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। সবই গবেষণার ফসল।’
পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন,‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমাদের বাধাপ্রাপ্ত হতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে সারা দেশের মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। সব বাধা মোকাবিলা করেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেটাকে মোকাবিলা করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরাই প্রথম ২০০৯ সালে আলাদা ট্রাস্ট ফান্ড করেছি এবং কী কী প্রজেক্ট নিতে হবে সেগুলো শুরু করি।’
সমুদ্র সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সুনীল অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এজন্য আমাদের দক্ষ বিজ্ঞানী দরকার।’
যারা অনুদান পেয়েছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে গবেষণা করবেন। সেই সঙ্গে আমি জানতে চাই, আপনারা কী কী গবেষণা করলেন এবং সেগুলো আমাদের দেশে কতটুকু কাজে আসবে।’
প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এজন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। আবার আমাদের শিল্পও করা দরকার; কারণ, বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: অনেক চড়াই-উতরাই পার করে দেশে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত: প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা খুব সীমিত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা ডাক্তার হন, তারা পরে হয় পুলিশে চলে যান নাহলে রাজনীতি করেন। তখন ডাক্তারিও করেন না, গবেষণাও করেন না। আবার অনেক ডাক্তার সরকারি চাকরিও করেন, আবার প্রাইভেটেও বসেন। তখন কিন্তু আর গবেষণা করা হয় না