আন্তর্জাতিক সময় ডেস্ক
গত অক্টোবরে টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন ইলন মাস্ক। সরিয়ে দেওয়া হয় সাবেক প্রধান নির্বাহী পরাগ আগারওয়ালসহ অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাকে। এর মধ্যে ঘটে যায় নানা বিতর্ক। এবার প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে থাকবেন কিনা তা জানতে চেয়ে ভোটের আয়োজন করেছেন মাস্ক।
বিবিসি জানায়, মাস্ক তার টুইটারের ১২ কোটি ফলোয়ারের কাছে ভোট চেয়ে প্রশ্ন করেছেন, “টুইটার প্রধান পদ থেকে আমি কি সরে যাব? ভোটের রায় মানব আমি।”
প্রযুক্তি ব্যবসায় দারুণ সাফল্য পাওয়া ইলন মাস্ক তার টেসলা ও স্পেসএক্স কোম্পানির কারণে বেশ সমাদৃত ছিলেন। এই দুটো উদ্যোগ তাকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে। বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তিনি এনেছেন নতুন মাত্রা। তার আরও বেশ কয়েকটি উদ্যোগ পৃথিবীর প্রযুক্তিকে নিয়ে যাবে বহুদূর। তবে টুইটারের ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পরেই বিতর্ক যেন তার পিছু ছাড়ছে না।
টুইটারের সেই ভোটে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন। জনতার রায় জানা যাবে সোমবারের (১৯ ডিসেম্বর) মধ্যেই। এই ভোটের আগে মাস্ক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন, টুইটারের বড় কোনো নীতিগত পরিবর্তনের আগে ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবার ভোট শুরু হওয়ার পরে বেশিরভাগ মানুষ তার সরে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিলে এক পোস্টে তিনি বলেন, “যা চাইবেন ভেবে চিন্তে চাইবেন, চাওয়া পূরণ হয়ে যেতে পারে।”
তবে ভোট শেষ হওয়ার আগেই বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ভোটের মাধ্যমে টুইটারে মাস্কের রাজত্ব শেষ হতে চলেছে।
এর আগে টুইটারে সাংবাদিক নিষিদ্ধ করার ঘটনায় গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মাস্কের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়। ইইউ এর পক্ষ থেকে টুইটারকে জরিমানা ও বিচারের আওতায় আনারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর তাদের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেন মাস্ক। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই টুইটার প্রধানের পদে থাকবেন কিনা জানতে চেয়ে ভোটের আয়োজন করলেন মাস্ক।