নিউজ ডেস্ক :টিলা ও দুই পাহাড়ের মাঝে ঝিরির ভেতর দিয়ে উঁচুনিচু পথ। কোথাও খাড়া হয়ে ওপরে উঠে গেছে পথটি। আবার চালু হয়ে নেমেছে নিচে, সমতলে। পথের কোথাও ইউ ও কাঁকর বিছানো। কেথিতি ইয় গাঢ় স্তর জমে আছে। ভাঙাচোরা গর্ত স্থানে স্থানে। পাকা রাস্তা খুব সামান্যই। এ রকম অমসৃণ, অসমতল ও ঝুঁকিপূর্ণ পথে বাইসাইকেল চালাবে একদল সাইক্লিস্ট।
আগামী ৯ তারিখ শুক্রবার পাহাড়ি পথে এক অন্য রকম এক সাইকেল দৌড় হতে যাচ্ছে আনোয়ারা কোরিয়ান ইপিজেডে।
‘এমটিবি চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’ প্রতিযোগিতার আয়োজক রেইস এক্রোস বাংলাদেশ ও দ্যা কোরিয়ান এসোসিয়েশন ইন চট্টগ্রাম। এটা সংগঠনটির আয়োজনে দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা। স্থানীয়ভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল আনোয়ারা সাইকেলিং কমিউনিটি এবং পতেঙ্গা সাইকেলিং কমিউনিটি। আয়োজনে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন, ফুড এভিনিউ, সুবারু, সি পি আর, ম্যাক্স হাসপাতাল,চিত্র কাব্য, উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম, মানহাস ও আর এস আর জেড, বাদল বাইকডক, ইউর ই-স্পোর্টস এন্ড ফ্যাশন অয়ার। রেস এক্রোস বাংলাদেশ আয়োজনে প্রথম প্রতিযোগিতা হয়েছিল বন্দর নগরী চট্টগ্রাম।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের শতাধিক নারী-পুরুষ সাইক্লিস্ট এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ৯.০০ তারিখ সকাল ৬.৩০ শুরু হবে সাইকেল দৌঁড়। শেষ ৮.০০ হবে। এই প্রতিযোগিতার পথের দৈর্ঘ্য ছিল ৪০ কিলোমিটার। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা, উঁচুনিচু, ভাঙাচোরা, অমসৃণ, গর্তে ভরা এ পথে পদে পদে ঝুঁকি আছে বলে তার নাম দিয়া হয়েছে এক্সসি রেস। পথের সঙ্গে খাপ খাওয়ায়ে পেরে উঠবেন পড়বেন যে কয়েকজন সাইক্লিস্ট তারাই হবেন এ প্রতিযোগিতার বিজয়ী।
আয়োজকদের প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান,
আমরা প্রতিযোগিতাটি সফল করতে পথের বাঁকে বাঁকে দিকনির্দেশনা দিতে গত একসপ্তাহ ধরে কজে নেমে পড়েছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা। এ ছাড়া আগে থেকেই কাগজে পথনির্দেশনার দিকচিহ্ন টাঙিয়ে রাখা হবে। প্রায় অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবক এসব কাজ করছেন। পুরস্কার বিতরণ ও বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কারের নগদ টাকা ও পদক তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ প্রতিযোগিতা।