নিউজ ডেস্ক:–১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে সেন্ট প্ল্যাসিডস্ স্কুল এন্ড কলেজে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।অধ্যক্ষ ব্রাদার সুব্রত লিও”র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফাদার টেরেন্স রড্রিক্স, উপাধ্যক্ষ চন্দন মানুয়েল গমেজ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ও পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- হাজার বছর ধরে আর্য-অনার্য নানা জাতির মানুষ তৈরি তৈরি হয়েছে বাঙালি জাতিসত্তা।দুইশত বছরের উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়ে আবার যখন পূর্ববাংলা পাকিস্তানের প্রায় ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণে জর্জরিত, তখন বাংলা মায়ের সাহসী সন্তান শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনি । কিন্তু স্বাধীনতার স্বপ্নকে পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগেই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।। এ হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য তীব্র শোক ও বেদন অনাদিকাল থেকেই যুগের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা সত্য ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠার জন্য অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছেন।। কিন্তু তাঁদের আদর্শ অমর হয়ে আছে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আজও আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোয় আলোকিত শোষণ বৈষম্যহীন, ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখি।আজ আমাদের স্বপ্ন ও অঙ্গীকার হলো, ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের মাতৃভূমিকে আমরা অধিকারে যেতে যেতে দেবো না।বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।। তাঁর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা ও কর্মোদ্দীপনায় সোনার বাংলা গড়ার লড়াই জারি রাখার মধ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুকে প্রকৃত প্রকৃত শ্রদ্ধা সম্মান প্রদর্শন করতে পারি।আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা দেশাত্মবোধক গান ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত কবিতা আবৃত্তি করে।বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।