নিউজ ডেস্ক :—কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামছুল আলম ও রুমি খাতুন আসামিদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, “আসামি রাজা মিয়া ও আউয়ালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম। আর নুরনবীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন বিচারক রুমি খাতুন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে কালিয়াকৈর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আউয়ালকে এবং কালিয়াকৈরের সোহাগপল্লীর শিলাবহ পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে নুরনবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ঝটিকা পরিবহনের চালক রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজা মিয়া পাঁচদিনের রিমান্ডে ছিলেন। শনিবার তাদের তিনজনকে আদালতে তোলা হয়।
মঙ্গলবার রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের বাসটিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় একটি বালুর স্তূপে ফেলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মধুপুর থানায় ওই বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।