বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাগানে একটি গাছের চারা রোপণ এবং একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় সোমবার উত্তর লনের বাগানে একটি গাছের চারা রোপণ ও একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই বৃক্ষরোপণকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু সব সময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই ছিল তাঁর এই সংগ্রাম। সেখানে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কথাও যেমন তিনি ভেবেছেন, তেমনি সারা বিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যজর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাও বলেছেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটাই ছিল বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য। কারণ, এতেই শান্তি আসবে এবং শান্তির সন্ধানেই তিনি ছিলেন। শান্তির জন্যই তিনি সংগ্রাম করেছেন। আর শান্তি ছাড়া কখনো কোনো দেশের উন্নতি হয় না।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সেপ্টেম্বর মাসেই স্বীকৃতি দেয় (১৭ সেপ্টেম্বর) এবং তার পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং এখানে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন (২৫ সেপ্টেম্বর)। সেই মাসেই জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তরের লনের বাগানে বৃক্ষরোপণ করা হলো এবং একটি চেয়ার উৎসর্গ করা হলো।”
প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ‘রুদ্ধদ্বার বৈঠক‘ করেন। বৈঠকে ৬টি সুপারিশের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, পৃথিবীর জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।