বাংলাদেশে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে বড় বড় শহরগুলোতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বন্দরনগরী চট্ট্রগামের অবস্থা বেশি খারাপ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন নগরীর ৩৫% এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ খালভরাট, বেদখলের কারণে চলতি বছরে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তবে পরিস্থিতি উন্নয়নে এখনই কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন না কর্তৃপক্ষের কেউ।
বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোল চট্টগ্রামের বিভিন্নএলাকা ঘুরে দেখেছেন সেখানে যে বছরের পর বছর ধরে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ যেমন রয়েছে, তেমনি আতঙ্ক আর হতাশাও কাজ করছে।
চলতি বছর শহরের জলাবদ্ধ পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে।
বর্ষাকাল ছাড়াও বৃষ্টি এলেই চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে এই ভেবে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে তাদের পড়তে হবে।
আগ্রাবাদ এলাকা ঘুরে কাদির কল্লোল দেখেছেন সেখানে অনেক এলাকায় হাঁটু পানি জমে আছে আর তার মধ্যে মানুষ কাজে বের হচ্ছে।

এছাড়া খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারের অবস্থা শোচনীয়। ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল বের করে রেখেছেন। অনেক ব্যবসায়ী বলেছেন নীচতলার পণ্য ও গুদামে রাখা পণ্য পানিতে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। কোনোভাবে তারা রক্ষা করতে পারেনি।
সবার মনে একটাই ভাবনা -শহরের জলাবদ্ধতার সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব দূর করাউচিত, তবে এটি কে করবে তা তারা জানেন না।
অনেকের মতে, বন্দরনগরী হিসেবে এই সমস্যাটাকে যেভাবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করাউচতি ছিল সেভাবে করা হয়নি এবংএখনো গুরত্ব দেয়া হচ্ছে না।
আমদানি-রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের মতে চট্টগ্রাম শহরে এমন জলজটের পরিস্থিতি দেশের বাইরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেহেতু এখানে বন্দরে বহু পণ্য আনা-নেয়ার বিষয় থাকে ফলে জলাবদ্ধতার বিষয়টি এ ক্ষেত্রেও এক ধরনের সমস্যা তৈরি করে।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের উন্নয়নের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয় হয় দাড়িয়েছে। কারণ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একেকভাবে কাজ নিয়েএগোয় এবংএদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। ফলে শহরের সমস্যা নিরসনে কোনো কাজই এগুচ্ছেনা বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
Source from: http://www.bbc.com/bengali/news-40734038