ডেস্ক নিউজ: আজ ৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস। ৭৬ বছর আগে এই দিন ক্ষমতার লড়াইয়ের চ‚ড়ান্ত বিভৎসতা প্রত্যক্ষ করে বিশ্ব। পারমাণবিক বোমায় ধ্বংস হয় জাপানের হিরোশিমা নগরী। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায় ৮০ হাজার মানুষ। পরে মৃতের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়ায়। এখনো সেই ভয়াবহতার জের টানতে হচ্ছে মানবজাতিকে। ‘যুদ্ধ নয় শান্তি’র বার্তা নিয়ে আজো রক্তস্নাত দিনটিকে স্মরণ করছে বিশ্ব।
মূলত এই হামলার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। তবে জাপানের আসাহি শিমবুনের এক হিসাবে বলা হয়েছে, বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগের কারণে দুই শহরে চার লাখের মতো মানুষ মারা যায়। এদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।
আণবিক বোমা হামলার এতবছর পরও শহর দুটিতে জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু। ক্যান্সারসহ দুরারোগ্য রোগে ভুগছে বহু মানুষ। হামলার সাত দশক পার হয়ে গেলেও ভয়াল সেই দিনের কথা এখনও ভোলেনি জাপানের মানুষ
হিরোশিমা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি আণবিক বোমার শিকার অসংখ্য আত্মার প্রতি তার আন্তরিক সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরে যখন আমি বাংলাদেশে প্রথম এসেছি, তখন এটি জেনে আমি মুগ্ধ হই যে এত বেশি বাংলাদেশি হিরোশিমা এবং নাগাসাকির ট্র্যাজেডির বিষয়ে জানেন এবং শান্তির পক্ষে সোচ্চার হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা হামলার ঘটনা, এমনকি সাসাকি সাদাকোর কাগজের সারসের গল্প এদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে রয়েছে। এছাড়াও অনেক বাংলাদেশি কয়েক দশক ধরে ৬ আগস্ট হিরোশিমা এবং নাগাসাকির ট্র্যাজেডিকে ‘হিরোশিমা দিবস’ হিসাবে স্মরণ করে চলেছেন। বাংলাদেশ থেকে জাপানের প্রতি সেই মমত্ববোধ আমাদের কাছে অনেক অর্থবহ। আমি আশা করি, আমরা, জাপান এবং বাংলাদেশের জনগণ সবার জন্য এই বিশ্বকে আরও শান্তিময় ও সম্প্রীতির বিশ্ব করে গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাব।