ডেস্ক নিউজ: গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে করোনায় আরও ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের চেয়ে ৬ জন কম। এনিয়ে একদিনে করোনায় মৃত্যু দুইশর উপরেই থাকল টানা সাত দিন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) করোনা ভাইরাসের বিষে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। গত ২৭ জুলাই মঙ্গলবার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।
তাছাড়া গতকাল বুধবার ২৩৭, গত সোমবার ২৪৭, রবিবার ২২৮, শনিবার ১৯৫ ও শুক্রবার ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৬শ ৮৫ জন।
একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৩৬৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জনে।
আজ শুক্রবার (৩১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপিততে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে মৃত ২১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ জন ও ৮৪ জন নারী। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫৬ জন, বেসরকারি ৪৯ হাসপাতালে জন এবং বাড়িতে ১৩ জন মারা যান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে নয় জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন দুইজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে চার জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয় জন এবং ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৭৮ হাজার ২১২ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৪৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৬৪টি।
এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ৯৭৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৮০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ২৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।