“রিজিয়া রেজা চৌধুরীর ফেসবুক থেকে নেওয়া”
“রাজাকার কন্যা এবার মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী” নামক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদঃ
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
২৩ জুলাই ২০১৭ইং, ৯:৩৫ মিনিটে জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পুর্বপশ্চিম ডটকমে প্রকাশিত “রাজাকার কন্যা এবার মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী” এবং বিডিনিউজ২৪ ডটকমে ২৩শে জুলাই রাত ৮টা ১১মিনিটে “রিজিয়া এখন নৌকার এমপির বউ: ক্রিক” সংবাদ দুটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা , বানোয়াট , ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।
আমাকে ও আমার পরিবারকে এমনকি আমার স্বামী চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর সাফল্য, আগামী মনোনয়নকে বাধাগ্রস্ত ও সাধারন মানুষের মাঝে ওনার অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে এক শ্রেণীর হীন মনমানসিকতা সমপন্ন কুচক্রিমহল এ সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে মনে করছি। যারা জামায়াত শিবির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ এনে বারবার এ রকম কাল্পনিক তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে। যার কোন ভিত্তি নেই এমনকি এ যাবৎ আমার বিরুদ্ধে কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট প্রমান ছাড়াই আমাদের পুরা পরিবারকে হেনেস্তা করার লক্ষ্যে কিছু সাংবাদিক ভাইদের ভূল তথ্য দিয়ে এধরনের কিছু সংবাদ প্রকাশ করেছে।
আসল ঘটনা হল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী তথা বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় সাফল্য ধরে রাখার মানসে ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় মহিলা ও দরিদ্র মেহেনতি মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় আমি, আমার স্বামী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। নৌকার প্রতি গন মানুষের ভালবাসা সৃষ্টিতে সুবিধাবন্চিত, দরিদ্র,মেহেনতি,খেটে খাওয়া নারী পুরুষেরসেবা করে যাচ্ছি। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব আমাদের অনুকরনীয় অনুসরনীয়।বঙ্গবন্ধুকে যিনি নেপথ্যে থেকে সবোর্চ্চ সহযোগিতা করেছিলেন । স্বামী বঙ্গবন্ধুর সব আন্দোলন সংগ্রামে, সন্তানদের লালন পালন করে শিক্ষিত করে গড়ে তুলে এবং বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা ও শক্তি দিয়ে তার সফলতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন এই বঙ্গমাতা নারী। বাঙালি জাতির সব ইতিহাসে জগত বিখ্যাত রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর নামের পাশে ওনার নাম উচ্চারিত হওয়া উচিত।জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাামনে জীবন্ত মডেল।আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে একটি আদর্শ,উন্নত জনপদে পরিনত করতে চাই।যখন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার বিজয়কে এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি নেতা কর্মিদের ঐক্যবদ্ব হওয়া দরকার তখন নিজেদের মধ্য কাদাছুড়াছুড়ি কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আজ নৌকাপ্রেমী সাধারন মানুষের প্রশ্ন।
সুতরাং আমি ও আমার স্বামী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সাতকানিয়া লোহাগড়ার গনমানুষের অধিকার আদায়ে, বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সমাজকে পরিবর্তনের দিকে ধাবিত করলে এই মিথ্যা, বানোয়াট ভূয়া সংবাদটি প্রকাশ করে মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছে । যা অতীতেও নানা অপ্রচার চালিয়ে সফল হতে পারেনি ইনশাল্লাহ্।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে,২০০২-০৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রী সংস্থার চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি ছিলাম। বড় বিচিত্র তথ্য এটি কেননা ৯ম শ্রেনীতেই আমার বিবাহ হয়েছিলো পরবর্তিতে সংসার সামলিয়ে গৃহবধু থাকা অবস্থায় পড়াশোনা শেষ করি রাজনীতি করার সুযোগ হয়নি তখন। তাছাড়া আমার মামা মুক্তিযোদ্বা মরহুম হাবিবুল্লাহ চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্বের সংগঠক, দঃজেলা কৃষকলীগের প্রতিষ্টাতাও বাঁশখালি আওয়ামীলীগের ৪/৫বারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন সেই সাথে আমার শ্বশুরবাড়ী একটি আওয়ামী পরিবার, আমার ভাসুর মুক্তিযোদ্বা মরহুম আবু জিয়া মুহাম্মাদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মুক্তিযোদ্বের সংগঠক ও অবিভক্ত সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার যুবলীগের ফাউন্ডার সভাপতি ও সাতকানিয়া থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।সেই সাথে বিভিন্ন রকম কাল্পনিক তথ্য দিয়ে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংগঠনের নেত্রী হিসাবে গনমাধ্যমে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ঘোলা জলে মাছ শিকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার কোন এক বিন্দু সত্যতা নেই।ডাক্তারের ছেলে যেমন ডাক্তার হয়না তেমনি রাজনীতি ও উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়ার বিষয় নয়।রাজনীতি করা গনতান্ত্রিক অধিকার,প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা,জ্ঞান-গবেষনা,যুক্তি-বিবেচনার মাধ্যমে যে কোন রাজনৈতিক আদর্শকে গ্রহন করার অধিকার আছে।স্বাধীনতা যুদ্বের সময় আমার জন্ম হয়নি,সুতরাং এই বিষয়ে আমাকে জড়িয়ে কোন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা নাগরিক অধিকার খর্ব করারই শামিল।
আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তিমুলক সংবাদটি প্রকাশ করায় আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনকি পুর্বপশ্চিম নামক অনলাইন নিউজ পোর্টালটির সম্পাদককে অনুরোধ করছি সংবাদটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার। একজন নাগরিক হিসাবে আইনী পরামর্শ ও মানহানিমূলক মামলা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সুবিচার পাবার প্রত্যাশা রেখে এই সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল কিংবা সর্বস্তরের প্রশাসন ও গোয়েন্দাদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি উক্ত সংবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে এই ডাহা মিথ্যা, মানহানিকর, অপপ্রচার ভিত্তিক ভিত্তিহীন সংবাদের গভীর নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারীঃ
রিজিয়া রেজা চৌধুরী
সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি,
সাতকানিয়া লোহাগাড়া,চট্রগ্রাম।