
পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের আঘাতে আহত ছাত্র মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের দুটি চোখের অবস্থাই খারাপ। সিদ্দিকুর আদৌ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কিনা, তানিয়ে এখুনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি চিকিৎসকেরা।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার মনির বিবিসি বাংলাকে বলেন, শনিবার সিদ্দিকুরের চোখে অপারেশন করার পর আজ সকালে তার চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছে।
“তার দুই চোখের অবস্থাই খারাপ ছিল অপারেশনের আগে। এখনো খারাপ। দেখা গেছে, ডান চোখের অবস্থা বেশি খারাপ। বাম চোখে গতকাল পর্যন্ত কোন আলো দেখতে পায়নি। আজ সকালে একবার বলছে দেখতে পাচ্ছে, একবার বলছে পাচ্ছে না।”
“এটা খুবই ভাইটাল জিনিস। সে যদি আলো দেখতে নাই পায়, তাহলে তো কিছু করার থাকে না। আলো থাকলে পরবর্তীতে সে চোখে কোন কিছু করা যায় কিনা, সেটা আমরা চিন্তাভাবনা করবো।”
“এক্ষেত্রে বলবো, বাম চোখের বেলায় আমরা কিছুটা আশার আলো দেখছি। হয়তো পরবর্তী ফলোআপের ভিত্তিতে আমরা বুঝতে পারবো। হয়তো পরে এ চোখে আমরা একটি অপারেশন করবো।”
সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার মনির জানিয়েছেন, দুপুরে সিদ্দিকুরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছে।
শনিবার সকালে সিদ্দিকুরের দুই চোখে অপারেশন করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, সিদ্দিকুরের ডান চোখের ভেতরের অংশ বের হয়ে আসছিল; তা যথাস্থানে বসানো হয়েছে। বাঁ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; রক্ত ছিল, তা পরিষ্কার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া সাতটি সরকারি কলেজ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
টিয়ারশেলের আঘাতে আহত হন সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান।
সিদ্দিকুর সরকারী তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ঢাকেরকান্দা গ্রামে।
Source from: http://www.bbc.com/bengali