ডেস্ক নিউজ:চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেছেন, লকডাউনের সময়ে কর্মহীন মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সে দিকে বিশেষ নজর আছে সরকারের। কোনো হতদরিদ্র পরিবার যাতে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ না যায় তা কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নরসুন্দর ও চর্মকারদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকার দেশের কল্যাণে কাজ করছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের মত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে এসময় যাতে কর্মহীন মানুষ খাদ্যাভাবে না থাকে সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছেন সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যেসব শ্রমজীবী মানুষ একেবারে কর্মহারা হয়ে পড়েছে বা কষ্টে আছে তাদের প্রত্যেককে ত্রাণের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। সমাজের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি লকডাউনে কর্মহীন নরসুন্দর, মুচি, চর্মকার ও অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ শ্রমিকসহ আরও যারা অতি কষ্টে দিনযাপন করছে তাদের প্রত্যেককে পর্যায়ক্রমে ত্রাণের আওতায় আনা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস. এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. সুমনী আক্তার, আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার(শিক্ষা ও আইসিটি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী প্রমূখ।