ডেস্ক নিউজ: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত বিফ্রিংয়ে তিনি
এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তবে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা ভাবনাও সরকারের রয়েছে।’
এদিকে টানা তিন দিন ধরে শতাধিক মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে। বাড়ছে সংক্রমণের হারও। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আরও সপ্তাহ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক শুরু হয়েছে সচিবালয়ে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তি থাকায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও কিছুদিন অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে সরকার। পাশাপাশি মানুষ যেন সরকারি নির্দেশনা মানে সে বিষয়ে আরও তৎপরতা বৃদ্ধির দিকেও জোর দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘লকডাউন কত দিনের হতে পারে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে এর সঙ্গে নতুন কিছু নির্দেশনাও থাকতে পারে।’
তিনি আরও জানান, ‘চলমান বৈঠকে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তারপর লকডাউন বাড়ানো হবে কীনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।’
এদিকে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২১ এপ্রিল রাত বারোটায় শেষ হবে। সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এরইমধ্যে লকডাউন এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও টানা তিন সপ্তাহের লকডাউনের কথা বলেছেন। সব কিছু মিলিয়ে লকডাউন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে সরকার।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার প্রথমে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়। পরে ৯ দিনের জন্য আরও ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপরেও সংক্রমণ বাড়তি থাকায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন বন্ধ রেখে, শর্ত সাপেক্ষে শিল্প কারখানা হাট বাজার খোলা রেখে এক সপ্তাহের লকডাউন জারি করে