চীন যদি আক্রমণ করে, তাহলে নিজেদের রক্ষা করার মতো যথেষ্ট সক্ষমতা ভারতের রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তিনি একথা জানান বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন সংযম দেখানোর পর চীনের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ মহল। ভারত-ভুটান-চীন সীমান্তে যে ‘স্থিতাবস্থা’ ছিল, চীনই তা ভাঙার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য সুষমার।
তিনি বলেন, চীন এবং ভারতের মধ্যে চলতে থাকা এই টানাপড়েনে অন্যান্য দেশ ভারতের পাশেই রয়েছে। চীন যদি আক্রমণ করে, তা হলে নিজেদের রক্ষা করার মতো যথেষ্ট সক্ষমতা ভারতের রয়েছে।
ভারত, চীন ও ভুটান সীমান্তের ডোকলাম অঞ্চলের ‘তেমাথায়’ এক মাসের বেশি সময় ধরে ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় উত্তেজনা প্রশমনে চীনের দাবি, ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে কোনো রকম আলোচনার অবকাশ নেই। ভারত যে একতরফা তা করতে প্রস্তুত নয়, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট।
সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘ভারত অযৌক্তিক কিছু বলেনি,’ এবং ‘অন্য দেশগুলিও ভারতকেই সমর্থন করছে।’
তিনি আরও বলেনন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টা চীন এবং ভুটানের মধ্যে ছিল, ততক্ষণ আমাদের বলার কিছু ছিল না। কিন্তু যখন থেকে ঘটনাটা ত্রিদেশীয় সীমান্ত ঘিরে ঘটছে, তখন থেকেই আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় প্রভাবিত হচ্ছে।’ সেই কারণেই ডোকলামে ভারত সেনা পাঠিয়েছে বলে সুষমা জানান।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ভারত-চীন টানাপড়েন সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এ দিন রাজ্যসভায় চীনের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সুষমা। চীন যতই যুদ্ধের হুঙ্কার দিক, ভারত একটুও ভীত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
সুষমা জানিয়েছেন, তিন দেশের সীমান্ত যে বিন্দুতে পরস্পরের সঙ্গে মিলছে, চীন বছরের পর বছর ধরে তার খুব কাছে চলে আসার চেষ্টা করছে। ১৬ জুন যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, চীনের সেই পদক্ষেপ মেনে নেওয়া ভারতের পক্ষে সত্যিই সম্ভব ছিল না বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ত্রিদেশীয় সীমান্ত লঙ্ঘন করবে বলে ওরা সেদিন বুলডোজার এবং নির্মাণ সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিল। এটা আমাদের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।