করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরু থেকেই বিজিএমইএ থেকে কারখানাগুলোকে সরকার নির্দেশিত নীতিমালা মেনে চলছে

Date:

Share post:

মহামারি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ৫০ শতাংশ জনবল িয়ে কারখানা চালানোর নির্নার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানালো তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিইএ। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ বিষয়ে বিজিএমইএ থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক জানিয়েছেন, অর্ধেক শ্রমিক দিয়ে গার্মেন্টস কারখানা চালানো সম্ভব নয়। তবে কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনার প্রথম ঢেউ সামলে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো রে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কারখানাগুলোতে শি ক্রেতার অর্ডার আসছে ও শিপমেন্ট চলছে। এ অবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে শুরু করায় সরকারের অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ জনবল দিয়ে কারখানা চালু রাখতে হলে কারখানাগুলো সময়মতো শিপমেন্ট করতে পাে না। ফলে আরো বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় কারখানাগুলো সরকার প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিল বিধায় তৈরি পোশাক শিল্পে করোনার সংক্রমণ ছিল ০.০৩% এর নিচে।

চিঠিতে রুবানা হক বলেন, প্রথম ঢেউয়ের পর করোনার সংক্রমণ কমলেও কারখানার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ শিথিল করা হয়নি।
কারখানাগুলো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে কিনা, তা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। কারখানা খোলা ও বন্ধের সময় গেটে যেন শ্রমিক সমাবেশ না ঘটে, সেজন্য কারখানাগুলো শ্রমিক প্রবেশ ও বহির্গমনের সময় ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময় অনুসরণ করছে।

বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরু থেকেই বিজিএমইএ থেকে কারখানাগুলোকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য দফায় দফায় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। চিঠিতে রুবানা হক উল্লেখ করেন, কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে। সুতরাং, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালানোর সর্বোচ্চ প্রস্ততি আমাদের আছে। পোশাক শিল্পে বর্তমানে প্রকৃত পরিস্থিতি হচ্ছে- চলমান করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপের কারণে পশ্চিমা বিশ্বে তৈরি পোশাকের অর্ডার ৩০ থেকে ৪০ কমেছে। তিনি আরো বলেন, ক্রেতারা তাৎক্ষণিক শিপমেন্টের পাশাপাশি দাম কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন, অন্যথায় অর্ডার বাতিলের হুমকি আছে। যা আমাদের জন্য মোটেও কাম্য নয়। এমতাবস্থায়, দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে সকল কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ ্বক কারখানা চালু রাখতে হবে।

এর আগে গত বুধবার বিজিএমএ’র সব সদস্যকে ১৬টি নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় কারখানায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করাসহ বেশকিছু বিষয় পরিপালন করতে বলা হয়। এর আগের দিন গত (৩০ মার্চ) কারখানা খোলা ও ছুটির সময়ে ভিড় এড়ানোর জন্য শ্রমিকদের প্রবেশ ও বের হওয়ার ভিন্ন ভিন্ন সময় নির্ধারণে জোর দিতে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করেছে সংগঠনটি।

এদিকে প্রজ্ঞাপন জারির পর সরকারের নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করতে ওই দিনই শ্রম মন্ত্রণালয় তার অধীন শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে (ডিআইএফই) নির্দেশনা দেয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

ইরানের ওপর আবারও আঘাত হানল যুক্তরাষ্ট্র!

টানা ১২ দিনের তীব্র সংঘাত শেষে এই মূহুর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে। এই সংঘাতের শেষ দিকে ইসরায়েলের পক্ষ...

আফগান সীমান্তে ‘ভারত-সমর্থিত’ ৩০ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী গোলযোগপূর্ণ খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে কমপক্ষে ৩০ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এক...

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংস্কার জরুরি: জামায়াত আমির

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। শুক্রবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে...

প্রথম দেশ হিসেবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া এবং নতুন আফগান রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে...