কিশমিশ হল আঙুর ফলের শুকনা রূপ। তাই কিশমিশকে শুকনো ফলের রাজাও বলা হয়।এতে আছে প্রচুর পুষ্টিগুন।
👉এসিডিটি কমায়ঃ
রক্তে অধিক মাত্রায় এসিডিটি (অম্লতা) বা টক্সিসিটি থাকলে, তাকে বলা হয়, এসিডোসিস। এটির কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ ও ক্যান্সার হতে পারে। কিশমিশ রক্তের এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
👉পরিপাক তন্ত্রের উপকারিতায়ঃ
কিশমিশ কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত কিসমিস খেলে হজমশক্তি ভাল থাকে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল (মুখ থেকে পায়ু) পথ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
👉ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে।
👉কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণেঃ
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
👉মস্তিষ্কের জন্যে উপকারিঃ
কিশমিশে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারি। বোরন মনোযোগ বাড়াতে সহায়ক। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে।
👉দেহে শক্তি সরবরাহ করেঃ
কিশমিশে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে থাকে। তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারী।
👉রক্তশূন্যতা দূর করেঃ
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান উপস্থিত থাকে যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
👉দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ
কিশমিশ এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। যা চোখের ফ্রি-রেডিকল দূর করতে সক্ষম। দৃষ্টি শক্তি হ্রাস ও চোখে ছানি পড়ে না। পাশাপাশি পেশী শক্তি হ্রাস পায় না।
👉রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
কিশমিশ রক্তচাপ কমায়। এর প্রধান উপাদান, পটাশিয়াম, রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিশমিশ শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
👉এন্টি কোলেস্ট্রোরেলঃ
কিশমিশে আছে এন্টি-কোলোস্ট্রোরেল উপাদান যা রক্তের খারাপ কোলোস্ট্রোরেলকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। কিশমিশের দ্রবণীয় আশ, লিভার থেকে কোলোস্ট্রোরেল দূর করতে সাহায্য করে।