ডেস্ক নিউজ: বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্রের সিরিয়াল কিলার হিসেবে অভিহিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সরকার, আমলা ও পুলিশের মদদপুষ্ট এই কমিশন গণতন্ত্র, আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো একের পর এক হত্যা করেই যাচ্ছে। একবার হত্যা করে তারা থামছে না, বার বার কাটা ঘাঁয়ে লবণ দিয়েই যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এই নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ’-এর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার বক্তব্যে দেশের বিচার বিভাগ নিয়েও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের এমপি বিদেশের মাটিতে যখন সাজাপ্রাপ্ত হয়, তখন আমাদের দেশের বিচারালয় ঘুমিয়ে থাকে নির্জিব পাথরের মতো, তারা দেখেও দেখে না। অথচ এখানে নিরাপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়, জেল খাটে। এই বিষয়টিকে লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ওনার নির্বাচন কমিশনে থেকে লাভ কী? একটা উদাহরণ সৃষ্টির জন্য আমি মাহবুব তালুকদারকে আহ্বান করছি, পদত্যাগ করেন। দেশবাসী বুঝবে একজন হলেও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর আছে।
জাফরুল্লাহ বলেন, আজ আমাদের সমবেতভাবে রাস্তায় নামতে হবে। আমরা একবার রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করে ভুলে যাই। বেসরকারি একটি কোম্পানি বিনা টেন্ডারে কাজ পাচ্ছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, এর বিচার কি হবে না? এর বিচারের জন্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক সৈয়দ হারুনুর রশিদের সভপতিত্বে ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহাম্মেদ খান, আব্দুল মোনেম, মো. আমিনুল হক ভূইয়া প্রমুখ।