ডেস্ক নিউজ: দক্ষিণ আফ্রিকায় নভেম্বর মাসে সাত বাংলাদেশি অপমৃত্যুর শিকার হয়েছেন। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে খুনের শিকার হন তিন বাংলাদেশি নাগরিক।
মাসের পর মাস বাংলাদেশিরা নির্বিচারে হত্যার শিকার হলেও পুলিশ বাদী (ইউডি) মামলা ছাড়া নিহতদের পক্ষে নিয়ে কেউ আইনি উদ্যোগী না হওয়ায় বিচার বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় কোনো রেকর্ড জানা নেই কারও। বাদী, সাক্ষ্য ও তথ্য নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। তারা সহযোগিতা না করার ফলে দূতাবাসের চেষ্টা বারবার বিফলে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রবাসী বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে অপরাধপ্রবণ অংশ মানুষ মাফিয়া সংস্কৃতিতে জড়িয়ে গেছে। এরা নিজেদের মধ্যে ব্যবসাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের ব্যবহার বা ভাড়া করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন, এসব অপমৃত্যুর পেছনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করার জন্য প্রবাসীদের মধ্যে খুনোখুনি বেড়েছে। সঠিক তদন্ত হলে অনেক বাংলাদেশির ব্যবসায়ী পার্টনারও ফেঁসে যাবে।
এসব বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসীদের সংগঠন বাংলাদেশ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃক বাংলাদেশিদের খুনোখুনি বন্ধ করা যাচ্ছে না। দূতাবাস সবাইকে নিয়ে কাজ করলে এ ধরনের ঘটনা বড় কিছু ঘটে যাওয়ার আগে সমাধান করা সম্ভব হবে। দেশটিতে বাংলাদেশিদের মধ্যে একটি অংশ লাগামহীন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর খালেদা আক্তারের সঙ্গে মেইল করা হলেও অপরপ্রান্ত থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
সূত্র: যুগান্তর