সময়ের প্রেক্ষাপটে সেই চুক্তিটি ‘বাধ্য হয়ে’ করেছিলাম “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান”

    0
    68

    লাইসেন্সের মেয়াদবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে সরকার কিভাবে চুক্তি করলো এটাই এখন দেশের সাধারণের প্রশ্ন৷ আর গতকাল (৮ জুলাই) সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান।

    তিনি জানিয়েছেন, “গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটার পর শুরুতে ছোঁয়াচে এই রোগে আক্রান্তদের আলাদা রেখে চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল খুঁজে পাওয়াটা কঠিন ছিল। সেই মূহুর্তে রিজেন্ট হাসপাতাল নিজেরাই সার্ভিসটা দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিল। তখন আমরা এই ধরনের হাসপাতাল খুঁজছিলাম। সে কারণে বিশেষ বিবেচনায় তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে গণমাধ্যমকে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান।

    আর লাইসেন্সের যে মেয়াদ ছিলোনা সেই তথ্য জানা ছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের৷ তাই শর্ত ছিল, তারা অবিলম্বে লাইসেন্স নবায়ন করে নেবে। কিন্তু মহাধূরন্ত মোহাম্মদ শাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের মীরপুর ও উত্তরায় অবস্থিত দুটি শাখার কোনটিরই লাইসেন্স নবায়ন করেনি কর্তৃপক্ষ৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাবী করছে লাইসেন্স নবায়নের শর্তের বিষয়টি চুক্তি করার পর রিজেন্ট হাসপাতালকে দুবার রিমাইন্ডার দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা নবায়ন করেনি।”

    উল্লেখ্য গত ২১ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তৎকালীন সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান বুধবার জানালেন, সে সময়ের প্রেক্ষাপটে সেই চুক্তিটি ‘বাধ্য হয়ে’ করেছিলেন তারা।

    রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি ছিল, হাসপাতালটিতে বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা দেবে আর আর সেই বিল পরিশোধ করবে সরকার”। কিন্তু হাসপাতালটি রোগীদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে৷ আবার কোভিড-১৯ রোগীদের সেই চিকিৎসার বিল বাবদ প্রায় ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিল চেয়ে ছিলো । অর্থাৎ এক চিকিৎসার দুইবার বিল৷ যদিও সে অর্থ পরিশোধ করা হয়নি বলে জানান অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আমিনুল।

    সাম্প্রতি র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ জালিয়াতি, রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে উঠে আসে। গত মঙ্গলবার হাসপাতালটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here