বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা যাতে কোনো কমিটিতে স্থান না পায় সেজন্য জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে তাদের তালিকা।

    0
    118

    দলে বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা যাতে কোনো কমিটিতে স্থান না পায় সেজন্য জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে তাদের তালিকা আসন্ন সম্মেলনকে নে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে এই তালিকা। তালিকাটি আজকালের মধ্যে সাংঠনিক বিভাগের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারা সেটি শীঘ্রই মহানগর ও জেলার শীর্ষ নেতাদের (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের) কাছে পাঠাবেন বলে কেন্দ্রীয় শীর্ষ এক নেতা আজাদীকে জানিয়েছেন। এদিকে দলের সভাপতি ও ্রীর এই সিদ্ধান্তকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের ‘পরীক্ষিত’ নেতাকর্মীরা স্বাগত জানিয়েছেন। এই সময়ে এটা খুবই প্রয়োজন ছিল বলে জানান মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
    তারা জানান, দল পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটিতে (আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে) অনেক সুযোগ সন্ধানী ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে। তারা দলকে ব্যবহার করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মন্ত্রী এ.কে.এম. এনামুল হক শামীম বলেন, শীঘ্রই বিতর্কিতদের তালিকাটি জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। তারা যাতে কেউ আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে আসতে না পারে সেই ব্যবস্থাই করা হবে।
    দলীয় সভানেত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ ারম্যান এম এ সালাম বলেন, দেশব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী অভিযান এবং দলের ভেতরে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানকেও আমরা স্বাগত জানিয়েছি। গুটিকয়েক সুাবাদী ও অনুপ্রবেশকারীর অপকর্মের কারণে প্রধানমন্ত্রীর সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছিল। তবে তিনি শক্ত হাতে বিতর্কিত, সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজ ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানের নির্দেশ দেয়ায় ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা খুবই খুশি। বিতর্কিতদের তালিকা পাওয়ার পর দলের সকল স্তর থেকে তাদের করা হবে বলেও জানান তিনি। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে জানান, বিতর্কিত কেউ যাতে কোনো কমিটিতে স্থান না পায় সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দলের বিশ্বস্ত নেতাদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিতর্কিতদের যে তালিকা তৈরি করেছেন তাতে দলের ভাবমূর্তি বাড়বে এবং ৃত ত্যাগী নেতাকর্মীরা মূল্যায়ন হবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে খুবই পজেটিভ দেখছি। আমরা তালিকা এখনো হাতে পায়নি, শীঘ্রই পাব। পাওয়ার পর আমরা তাদের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেব।
    এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, দল ও সহযোগী সংগঠনে বিতর্কিত বা অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে তালিকা করেছে আওয়ামী লীগ। সম্মেলনকে সামনে রেখে সব জেলায় এই তালিকা পাঠানো হচ্ছে। নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে এই তালিকা করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন। তালিকাটি কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলার নেতাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। বিতর্কিত কেউ যাতে কোনো কমিটিতে স্থান করে নিতে না পারে সেই ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হচেছ।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here